ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চক্ষু শিবির: ১৭ জনকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
চক্ষু শিবির: ১৭ জনকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ

ঢাকা: চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসার সময়ে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১৭ জনকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন  হাইকোর্ট।

রোববার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ১৩ আগস্ট এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন।  ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।  অপারেশনে যে কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানির (আইরিশ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

রায়ের পরে  অমিত দাসগুপ্ত বলেন, রায়ে  ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল ১৭ জনকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে প্রত্যেকের সারা জীবনের চিকিৎসার ব্যয়ভার ইমপ্যাক্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের হাসপাতালে অথবা ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে বহন করবে।

‘আইরিশ কোম্পানি যারা রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি ওষুধ সরবরাহ করেছিলো তাদের ৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেক রোগীকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ’ 

তিনি বলেন, দেশে মেডিকেল নেগলিজেন্সির বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত আইন নেই, কোনো ব্যবস্থা নেই তাই ৭ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে; যে কমিটির প্রধান হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি। ভবিষ্যতে মেডিকেল নেগলেজেন্সি ঘটলে সেটি তারা দেখবেন এবং ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ করবেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শীর্ষক শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে  রিট করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।
 
এ রিটের পর ১ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন।  ওই দিন অমিত দাসগুপ্ত জানান, ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে তিনদিনের চক্ষু শিবিরে চক্ষু চিকিৎসায় ২০ জনের চোখ অস্ত্রোপচারে কার্যকর, যথাযথ ও পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জনের প্রত্যেককে কেন এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, প্রয়োজনীয় নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়সারাভাবে চক্ষু অপারেশন করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এ রুল শুনানির এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনকে তলবও করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।