ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আদালত পরিবর্তনে খালেদার আবেদনের ওপর আদেশ ৮ মার্চ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৭
আদালত পরিবর্তনে খালেদার আবেদনের ওপর আদেশ ৮ মার্চ

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর রোববার (০৫ মার্চ) শুনানি শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে আদেশের  জন্য ০৮ মার্চ (বুধবার) দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।

দুদকের পক্ষে ‍শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, অনাস্থা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শুরু হয়। আবেদনে রুল জারির আরজি জানিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপরও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

গত ০৮ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন উপস্থাপনের পর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। পরে বেঞ্চ পরিবর্তন ও নতুন দিন ধার্য হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ওই মামলা যে বিচারিক আদালতে চলছে, সে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়। কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি খারিজ করেন বিচারিক আদালত। এরপর আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে জিয়া অরফানেজ ছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।