ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আমিন বাজার ট্রাজেডি

ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ঢাকা: ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে ছয় ছাত্রকে ডাকাত অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা চাঞ্চল্যকর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল-আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন করেন তিনি। আগামী ১৬ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য করেছেন আদালত।

ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন আসামি মালেক ও হামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় দায়ের হওয়া ডাকাতি মামলা থেকেও সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলায় চার্জশিটের সাক্ষী ৯২ জন।

চার্জশিটভুক্ত ৬০ আসামি হলেন- ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহার ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম, মনির, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হায়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল ও আলম।

আসামিদের মধ্যে ১৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিটিয়ে হত্যা করা ছয় কলেজ ছাত্র হলেন- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাপল লিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম (১৮), মিরপুর বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব (২০)। তারা পরস্পরের বন্ধু ছিলেন।

নিহতদের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।