ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাকার রায় ফাঁস মামলার রায় পিছিয়ে ২৮ আগস্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
সাকার রায় ফাঁস মামলার রায় পিছিয়ে ২৮ আগস্ট

ঢাকা: মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেছেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নজরুল ইসলাম শামীম জানান, রোববার (১৪ আগস্ট) রায়ের দিন ধার্য ছিল।

তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ২৮ আগস্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম।     

যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় গত ০৪ আগস্ট রায়ের এ দিন ১৪ আগস্ট ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

ওইদিন জামিনে থাকা আসামি সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম, সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীর জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী নারী ও বয়স্ক বিবেচনায় তার জামিন বহাল রাখেন।

জামিনে থাকা আরেক আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় তাকে রায়ের দিন অবশ্যই আদালতে হাজির করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

সাতজন আসামির মধ্যে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

গত ২১ এপ্রিল থেকে এ মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমানসহ চার্জশিটভুক্ত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ০১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে যান।

রায় ঘোষণার পরদিন ০২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন।

এ বিষয়ে ওই বছরের ০৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক ও নয়ন এবং ব্যারস্টার ফখরুলের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদীকে আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।