ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
বাগেরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর যাবজ্জীবন

বাগেরহাট: বাগেরহাটে রাজু শেখ (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার ১১ বছর পর তার তিন বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-প্রথম আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩০), নাগেরবাজার এলাকার রিপন চৌধুরীর ছেলে শামীম চৌধুরী (২৮) ও খারদ্বার এলাকার মুন জাহের শেখের ছেলে জামাল শেখ (২৯)। এদের মধ্যে জামাল শেখ পলাতক।

নিহত স্কুলছাত্র রাজু শেখ জেলা শহরের হরিণখানা এলাকার শেখ জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মামলার বরাত দিয়ে রাস্ট্রপক্ষের সহকারী কৌশুলী কাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, ২০০৫ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজু স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে শহরের পিসি কলেজের হরিণখানা এলাকায় তার বন্ধু সুমন, শামীম ও জামাল তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রাজুকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা তাকে হত্যা করে।

এ ঘটনার দিনই রাজুর বাবা বাগেরহাট মডেল থানায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা রাজুকে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদিন নিহত রাজুর তিন বন্ধু সুমন, শামীম ও জামালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রামণিত হওয়ায় সোমবার দুপুরে বিচারক তিন বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারা ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন শিবনাথ বালা।

বাংলাদেশ সময়:  ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।