ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

খাদ্য আইন-২০১৩'র বিধিমালা প্রস্তুতের কাজ চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪
খাদ্য আইন-২০১৩'র বিধিমালা প্রস্তুতের কাজ চলছে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম

ঢাকা: নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩'র বিধিমালা প্রস্তুতের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বুধবার বেলা ১২টায় রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে জাতীয় খাদ্যনীতি পরিকল্পনা বিষয়ক একটি সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।



তিনি বলেন, মোট ১৩টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এখন নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩'র বিধিমালা প্রস্তুতের কাজ চলছে। এ আইন দেশে সবার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বেশ সহায়ক হবে।

আইনটি চূড়ান্ত করতে এখনও দু'এক বছর সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।

দেশে চাল আমদানি করা হয়, বেশ কিছু পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের রিপোর্ট করেছেন যে বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে চাল আমদানি করে, তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেই প্রতি বছর ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন করা হয়। আমাদের দৈনিক চাহিদা ৮০ লাখ মেট্রিক টন। আর প্রতি বছর প্রায় ৫-৭ লাখ মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত থাকে।

তিনি বলেন, আমারা আরো উল্টা ভারতে সগন্ধি চাল রপ্তানী করি। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে ভারত থেকে গো-খাদ্যের জন্য বেসরকারিভাবে কিছু চাল আমদানি করা হয়।

যা সরকারি উদ্যোগের বাইরে বলেও তিনি জানান তিনি।

কামরুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসর্ম্পূণ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম। ওই সময়ও খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকতো। কিন্তু পরবর্তি সরকারের আমলে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে যায় দেশ। তখনই আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।

এখন আর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ শব্দটি এখন আমরা ভুলে গেছি।

শেখ হাসিনার দূরদর্শী নীতি ও পরিকল্পনার কারণে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করে দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে বলে দাবি করেন তিনি।

বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষকদের বিভিন্ন সমম্যা গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন বীজ উদ্ভাবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য বিভিন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বীকার করছি যে, দেশে বহু মানুষ এখনও দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। গত ২০০০ সাল থেকে বর্তমানে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারীদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪/ আপডেট ১৩৫৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।