ঢাকা: রাজধানীর পল্টন এলাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু ও নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়াসহ ১০ জনকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন থানায় হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১৯ মে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম ও দিপু মোল্লা, যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাজমুল হাসান সোহাগ, কুমিল্লা জেলা উত্তর শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্য সচিব মো. আল-আমিন, মো. আব্দুল আলিম ওরফে সোহাগ সিকদার, আরিফ হোসেন ও মো. রবিউল করিম কনকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এ ছাড়া এক দিনের রিমান্ডে পাঠানো মোজাম্মেল হোসেন রিপন, জাকির হোসেন ব্যাপারী, শফিকুল ইসলাম শফিক ও মহিউদ্দিনকে রিমান্ড শেষে আগেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৮ মে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য রাজধানীর পল্টন থানাধীন বায়তুল মোকাররম ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালায়। এ সময় ছাত্র জনতার সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের আশপাশের এলাকা থেকে আটজন আসামিকে আটক করেন পুলিশ। এ ছাড়াও এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০ থেকে ১৫০ জন আসামি বিভিন্ন দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সঙ্গে থাকা এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বাকিদের আটক করে।
কেআই/এএটি
