ঢাকা: মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের এক শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ২১ মে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে সেই আদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে প্রেরণ করতে হয়।
এছাড়া এ মামলার রায়ের বিপরীতে আসামি আইন অনুয়ায়ী উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হলে গত ১৭ মে সেই মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে (৪৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। রায়ে বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত শিশুর বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০)।
গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন।
গত ৭ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে শেষ হয় আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম। ১৩ মে সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ১৭ মে শনিবার ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।
নির্মম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে মাগুরা সদর উপজেলায়। রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় আট বছরের শিশুটির। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হিটু শেখসহ চারজনের নামে মামলাটি করেন। পরে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ইএস/এমএম