ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জাবি ধর্ষণকাণ্ড: আদালতে গিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে অসম্মতি ছাত্রলীগ নেতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
জাবি ধর্ষণকাণ্ড: আদালতে গিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে অসম্মতি ছাত্রলীগ নেতার

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে গিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে অসম্মতি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়।

জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। তবে তিনি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মুস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

একইদিন অন্য তিন আসামি- জাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসানকেও পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন।

এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে হাজির করে আসামি কামরুজ্জামানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড ও বাকিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে কামরুজ্জামান স্বীকারোক্তি না দেওয়ায় সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কামরুজ্জামান পুলিশকে জানায় সে আদালতে স্বীকারোক্তি দেবে। তবে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়নি। তাই সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বাদী ভুক্তভোগীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, বাদীর পূর্ব পরিচিত বহিরাগত পলাতক আসামি মামুনুর রশীদ বাদীকে ও তাহার স্ত্রীসহ জাবিতে নিয়ে আসে। এ সময় বাদীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে আটকে রাখে। তখন হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে পলাতক আসামি মুরাদ ও গ্রেপ্তার সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামানের সহায়তায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজ ও পলাতক মামুন বাদীর স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী আশুলিয়া থানায় গণ-ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ঘটনার পর শনিবার রাতেই সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।