ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাবুল চিশতি ও তার ছেলের ১২ বছর কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
বাবুল চিশতি ও তার ছেলের ১২ বছর কারাদণ্ড

ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংকের প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতি ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতিকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ রায় দেন।

এছাড়া বাবুল চিশতির স্ত্রী রোজী চিশতি ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। বাবুল চিশতি, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার দ্বিগুণ ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল চিশতিকে আরও দুই বছর ও রোজি চিশতিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া তাদের সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর আসামি মাসুদুর রহমান খানকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। তারও সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।

রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাশেদুল হক জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় শেষে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রোজি চিশতি ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।  
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।

গত ৫ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতি গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা এবং উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন।

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতিসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।