ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিলেটে হত্যা মামলায় দম্পতির যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
সিলেটে হত্যা মামলায় দম্পতির যাবজ্জীবন

সিলেট: সিলেটে সোনারা বেগম হত্যা মামলায় স্বামী ও স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।



আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিতরা হলেন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফরফরা গ্রামের আব্দুল করিম (৪১) ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগম (৩৩)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি রায়ে উভয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া পৃথক ধারায় আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী শিরিনাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, উপজেলার ফরফরা গ্রামের মো. ওয়াহাব আলীর সঙ্গে সৎ ভাই আব্দুল করিমের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তাই ওয়াহাব ও তার স্ত্রী এবং তাদের পক্ষে থাকা প্রতিবেশী তেরাব আলীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই জের ধরে ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে মসজিদে ফজর নামাজ পড়ে ফেরার পথে তেরাব আলীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করেন আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী।

তার চিৎকারে সোনারা বেগম বেরিয়ে ঘটনাটি দেখে প্রাণভয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু দণ্ডিত আব্দুল করিম সস্ত্রীক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে পেছনে রান্নাঘরের দরজা দিয়ে সোনারা বেগম পালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। তখন সৎ ভাইয়ের স্ত্রী সোনারা বেগমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী শিরিনা।

ঘটনার পরদিন ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে জৈন্তপুর থানায় হত্যা মামলা (নং-২০(৯)২১) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার সাবেক উপ পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (নং-১৩০) দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর মামলাটি আদালতে বিচারের জন্য দায়রা ৯২৩/২২ মূলে রেকর্ড করা হয়। একই বছরের ১৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচারকার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শোনানিকালে ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর যোগসাজসে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করায় বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আকমল খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।