ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি মুলতবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি মুলতবি

ঢাকা: বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনের ওপর শুনানি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

অন্য দুই বিচারপতি হলেন, বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো.জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।   

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা আমরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’- আপিল বিভাগের এক বিচারপতির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

পরে ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।

বিবাদী করা হয়েছে আইনজীবী কায়সার কামালসহ সাতজনকে।

ওইদিন ব্রিফিংয়ে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বলেছিলেন, আমরা তো কোর্ট অফিসার। কোর্টের ভাবমূর্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে কতিপয় আইনজীবীরা বিচারপতিদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের শব্দ বলছেন। যা আদালত অবমাননার শামিল।

আবেদনটি ৩০ আগস্ট কার্যতালিকায় উঠলে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

একইসঙ্গে  সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও মিছিল না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের আগের দেওয়া রায় অনুসরণ করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

গত ১৭ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।  

লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এক শোক সভায় প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের কয়েকজন বিচারপতির বক্তব্য বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং ১৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ আমাদের সংবাদ সম্মেলন।

তিনি বলেন,আলোচনা সভায় বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম শপথবদ্ধ রাজনীতিবীদ হিসেবে বিচারপতিদেরকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি স্পষ্টতই দেশের চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে শাসক দলের নেতাদের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ইদানিং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়।  

বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের যে মৌলিক অধিকার জনগণের রয়েছে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছেন সারা পৃথিবীতে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন! 

কায়সার কামাল বলেন, বিচারকদের এহেন বক্তব্য কতটুকু বিচারক সুলভ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচায়ক তা সহজেই অনুমেয়। তারা বিচারপতির মহত্ম ধারণ করতে পারেন কি না তা জনমনে অনেক সংশয় ও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।  

এরপর বিভিন্ন সময়ে এই নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল-সভা-স্লোগান দিয়ে আসছেন। এমন প্রেক্ষাপট তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
ইএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।