ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ড. ইউনূসের শ্রমআইন লঙ্ঘনের মামলায় স্থিতাবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
ড. ইউনূসের শ্রমআইন লঙ্ঘনের মামলায় স্থিতাবস্থা

ঢাকা: গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের নামে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

এ মামলায় হাইকোর্টের জারি করা রুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এ স্থিতাবস্থা দেন।

 

এ আদেশের ফলে মামলাটি যে আদালতে যে পর্যায়ে আছে, আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত সে পর্যায়েই থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

চলতি বছরের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। পরে গত ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত রোববার শ্রম আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আদেশের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ জুলাই রুল জারি করেছেন। সে রুলটি স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল। আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত মালাটিতে স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সে পর্যন্ত মামলাটি যে আদালতে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থাতেই থাকবে।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।