ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

২২ বছর আগের হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
২২ বছর আগের হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: দীর্ঘ ২২ বছর আগে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় নার্সারির মালী আবুল হোসেন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (০৯ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন নার্সারি মালিক মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে লিটন এবং মালী আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারুল। তবে আসামিরা পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার তানভীর হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী আবু তাহের আসামি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিমান বাহিনীর কুর্মিটোলায় ২২২ এম ইউ সংলগ্ন জায়গায় জমি লিজ নিয়ে একটি নার্সারি করেন। নার্সারির কাজ পরিচালনার জন্য মালী হিসেবে আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আসামি মুস্তাফিজুর রহমান নার্সারির কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি, বেতন এবং সবকিছু দেখাশোনা করতেন।

২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯টার দিকে মুস্তাফিজুর রহমান হেড মালী আবুল হোসেনকে নার্সারিতে গিয়ে দেখতে না পেয়ে অন্যান্য মালীদের কাছে আবুল হোসেনের কথা জিজ্ঞাসা করেন। তারা জানায়, আবুল হোসেন তার আত্মীয়কে দেখার জন্য হাসপাতালে গেছেন।

এর দুইদিন পর ৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবুল হোসেনের মরদেহ এমইউ বিল্ডিংয়ের অফিসের পেছনে ম্যানহোলের মধ্যে পাওয়া যায়। বাদী আবু তাহের সেখানে পৌঁছানোর আগে মুস্তাফিজুর রহমান নার্সারি থেকে পালিয়ে যান। নার্সারির অপর দুই মালী রবিউল ও আনোয়ারকে বিমান বাহিনীর লোক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় বাগান মালিক আবু তাহের ৭ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০০৩ সালের ২৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
কেআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।