ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাউফলে ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে চাচা কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
বাউফলে ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে চাচা কারাগারে

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে নিজ বাড়িতে প্রতিবন্ধী ভাতিজিকে (২৫) ধর্ষণের দায়ে চাচা ফোরকান মোল্লাকে (৫৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরের দিকে পটুয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জামাল হোসেন এ আদেশ দেন।

 

এই মামলায় ধর্ষক ফোরকান হাইকোর্ট থেকে আজ পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। তবে আজ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার তারিখ থাকায়, আসামি হাজির হলে, তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা নম্বর জিআর ০৩/২০২৩।  

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাউফল থানাধীন সূর্য্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রামনগর এলাকার বাবুল মোল্লার চার সন্তানের মধ্যে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে এক প্রতিবন্ধী (২৫) মেয়ে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে নিজ বসত বাড়ির বারান্দায় বসে ছিলেন। ধর্ষণের শিকার নারীকে বসিয়ে, তার ভাইয়ের বউ (৩৫) তার প্রতিবন্ধী ভাইকে খাবার দেওয়ার জন্য পেছনের ঘরে যায়।

কিচ্ছুক্ষণ পরে বারান্দায় আসিয়া তার ননদকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবন্ধী স্বামীকে ইশারার মাধ্যমে বুঝায় যে, আমার ননদ ভিকটিম প্রতিবন্ধীকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আমি এবং আমার স্বামী শাহ আদম মোল্লা আমার ননদকে বাড়ির আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও তার সন্ধান মেলে না। পরে পুনরায় ঘরে এসে দেখি, ভুক্তভোগী ঘরে মধ্যে কান্না করছে। তখন ভিকটিমকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ফোরকান মোল্লা আমার ননদ ভিকটিম মোসা. কহিনুর বেগমকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে।  

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিন হাওলদার জানান, আসামি ফোরকান এতদিন হাইকোর্টের আদেশে জামিনে ছিলেন। আজ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বাউফল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার নারীর ভাইয়ের বউ (৩৫)। মামলাটি বর্তমানে বাউফল থানায় তদন্তাধীন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।