ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

বইমেলার ৬ষ্ঠ দিনের অলোচনায় গণমাধ্যম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
বইমেলার ৬ষ্ঠ দিনের অলোচনায় গণমাধ্যম বক্তব্য রাখছেন ড. মোফাকখারুল ইকবাল

কলকাতা: কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ৯ম বাংলাদেশ বইমেলার ৬ষ্ঠ দিন ছিল বুধবার (৬ নভেম্বর)। এদিনে ‘সমাজ বদলে গণমাধ্যমে ভূমিকা’ শিরোনামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উঠে এসেছে গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিক।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রেস শাখার প্রথম সচিব ড. মোফাকখারুল ইকবাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মনিরুজ্জামান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, মুক্তিযুদ্ধে অবদানে সম্মাননাপ্রাপ্ত কলকাতার সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী এবং কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যম। এই মাধ্যমটি সমাজের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বদল আনতে পারে। তবে তা হতে হবে অবশ্যই গঠনমূলক। উৎসাহব্যঞ্জক ও উন্নয়মূলক সংবাদ সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ বা ফেক নিউজ সমাজে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয়। তাই আমাদের এসব নেতিবাচক সংবাদ থেকে সচেতন থাকতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মনিরুজ্জামান বলেন, সংবাদমাধ্যম শুধু তথ্য সরবরাহ করে না। যেমন জনমত তৈরি করে তেমনি জনগণকে সংগঠিত করে, লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করে।

সুভাষ সিংহ রায় বলেন, অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যমের প্রশংসা করে বহুবার বলেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজে যেখানে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম রয়েছে, সেখানে দুর্ভিক্ষে মানুষ মারা যায় কম। যেখানে গণতন্ত্র নেই এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, সেখানে অনাহারে মানুষের মৃত্যুর হার বেশি।

সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, সংবাদপত্র কীভাবে সমাজ ও একটা রাষ্ট্রের পরিবর্তন করতে পারে তার প্রমাণ আমি নিজে। ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ভূমিকার কথা কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশ করেছি, যা সারাবিশ্বের মিডিয়াতে ভালোভাবে এসেছে। সমাজের সব স্তরেই সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সাংবাদিক স্নেহাশিস সুর বলেন, সংবাদপত্র জনমত গঠন করে। সমাজ পরিবর্তনে জনমত অত্যন্ত জরুরি। তাই সমাজ বদলে সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আলোচনাপর্ব শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কবিতা পাঠ করেন জয়দ্বীপ চট্টোপাধ্যায় ও মুনমুন চক্রবর্তী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কলকাতার শিল্পী ড. তানিয়া দাস ও রুনা নস্কর। নৃত্য পরিবেশন করেন সৃজক নৃত্যনাট্যের শিল্পী বারুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ভারত এর সর্বশেষ