ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আসামে স্কুলবাসে গ্রেনেড হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট, উলফা জঙ্গি গ্রেপ্তার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১১
আসামে স্কুলবাসে গ্রেনেড হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট, উলফা জঙ্গি গ্রেপ্তার

কলকাতা: ভারতের আসামে অল্পের জন্য গ্রেনেড হামলার হাত থেকে বেঁচে গেছে স্কুল ছাত্রদের বহনকারী একটি বাস।

গত মঙ্গলবার সকালে শিবসাগরে স্কুলবাস লক্ষ্য করে উলফা জঙ্গিদের ছুঁড়ে দেওয়া গ্রেনেডটি সামান্য দূরে পড়লে প্রাণে বেঁচে যায় ছাত্রসহ আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা।



পরে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দীপক গোয়ালা ওরফে বিজয় মাংকি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

আসাম পুলিশ জানিয়েছে, আসাম রাইফেল্স‘র দু’টি স্কুলবাস সকালে নাগিনাজান থেকে নাজিরার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। ৭টা ২০ নাগাদ চোলাধরা গ্রামের কাছে বিহুবাড় সড়কে স্কুলবাসের সামনে গ্রেনেড মারা হয়। ।

পুলিশের অনুমান বাসগুলোকে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া আসাম রাইফেলসের গাড়িটি ছিল উলফা জঙ্গিদের মূল নিশানা।

ঘটনার পরেই জঙ্গিদের সন্ধানে চিরুনি তল্লাশিতে নামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

শিবসাগরের পুলিশ সুপার এ কে সিংহ জানান, গ্রেনেডটি ছুঁড়ে শিমালগুড়ির কাছে একটি জঙ্গলে আত্মগোপন করেছিল দীপক গোয়ালা ওরফে বিজয় মাংকি। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

জেরায় দীপক জানায়, বন্ধক রাখা জমি ছাড়াাতে উলফার তরফে দীপককে আড়াই লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাকে ৫০ হাজার রুপি ও গ্রেনেডটি তাকে দিয়ে বলা হয়, কাজ সফল হলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।

পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, কারা ওই টাকা ও গ্রেনেড দীপককে দিয়েছে।

সেনা ও পুলিশের গোয়েন্দারা আগেই জানিয়েছিল, পরেশপন্থি উলফার একটি দল মিয়ানমার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিবসাগরে অবস্থান করছে।

তারা গরিব যুবকদের টাকা দিয়ে সন্ত্রাসের কাজে লাগাচ্ছে। তবে, তারা এভাবে স্কুলবাস তাক করে গ্রেনেড ছুঁড়বে তা ভাবা যায়নি।

ঘটনাস্থলের তিন কিলোমিটারের মধ্যেই উলফা সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়ার বাড়ি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট ধেমাজি কলেজ মাঠে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল আলফা। নারী ও শিশু সহ ১৩ জনের মুত্যু হয় ওই হামলায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা এর সর্বশেষ