ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তরাই সাতকেন্দ্রে তৃণমুল-কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১১

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের দার্জ্জিলিং জেলা নিয়ে গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিদার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা হঠাৎ করেই তরাই অঞ্চলের ৭টি বিধানসভায় তৃণমুল-কংগ্রেস জোটকে সমর্থন করায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বৃহস্পতিবার রাতে দার্জ্জিলিং শহরে মোর্চার সভাপতি বিমল গুরং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে ও তরাইয়ের ৪টি আসনে তারা লড়ছেন।

সেই সঙ্গে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমুল জোটকে তারা সমর্থন করছেন। ’

প্রথমে জানা গিয়েছিল, পাহাড়ের ৩টি ও তরাইয়ের ১টি কেন্দ্রে মোর্চা নিজে লড়াই করলেও লোকসভা নির্বাচনের মতো তারা পাহাড় লাগোয়া সমতল তরাইতে বিজেপিকে সমর্থন করবেন। এমনটা ঘোষণাও করেছিলেন কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।

কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মোর্চা জানালো, তারা ৩টি আসন বাদে তরাই-এ সব আসনেই তৃণমুল জোটকে সমর্থন করছেন।

মোর্চা নেতা রোশন গিরি টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, শিলিগুড়ি, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আসনে তৃণমুল, মাটিগড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, মালবাজার, ধূপগুড়ি ও কুমারগ্রামে কংগ্রেস, মাদারীহাটে বিজেপি ও নাগরাকাটায় পিপি দলকে সমর্থন করবেন।

তৃনমুলকে সমর্থন করার পেছনে পশ্চিমবঙ্গে বামবিরোধী সরকার গঠন হলে গোর্খাল্যান্ড পাওয়ার কোন আশ্বাস পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে- তিনি বলেন, ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে, নতুন সরকার আসলে তারা গোর্খাল্যান্ড মানবেন আশা করি।

সিকিমের বিধানসভায় গোর্খাল্যান্ড বিল পাশ হয়েছে এটা ভারত সরকারকে মানতে হবে।

এদিকে মোর্চার এই সমর্থন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সিপিএম।

সিপিএম নেতা ও রাজ্যের পৌরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বলতাম মাও-তৃণমুল আঁতাত। অনেকে বিশ্বাস করতে চাইতেন না। আজ প্রমান হয়েছে।

এটাও বলতাম রাজ্য ভাগকারি মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তৃণমুল।
আজ প্রমাণ হল। মোর্চা একদিকে বিজেপি আর একদিকে তৃণমুল। মৌলবাদি আর বিচ্ছিন্নতাবাদির জোট।
এখানে একটা গোপন চুক্তি হয়েছে। মোর্চা একতরফা সমর্থন করছে এমনটা নয়, এর পেছনে তৃণমুল আছে।

টাকার বিনিময়ে হয়েছে। যেমন কালচিনি বিধানসভায় মোর্চাকে সমর্থন করছে তৃণমুল।

রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেকায়দায় পড়ে গেল তৃণমুল।

কারণ রাজ্যের মানুষ যতই পরিবর্তন চান, রাজ্য ভাগের দাবিদারদের সমর্থন দেওয়া পছন্দ করবেন না।

এর ফল ভোটবাক্সে পড়বে নিশ্চিতভাবেই।

এতে পাহাড়ের নীচে সমতলে বাড়তি সুবিধা পেল সিপিএম তথা বামফ্রন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘন্টা, এপ্রিল ১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা এর সর্বশেষ