ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ২ শিশুতোষ গেম

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ২ শিশুতোষ গেম হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান ও গেরিলা ব্রাদার্স গেমস

ঢাকা: কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে গেম খেলতে কার না ভালো লাগে? আর গেমটা যদি হয় নিজের দেশের কোনো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে, তাহলে রোমাঞ্চের মাত্রাটা বেড়ে যায় শতগুণ। 

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি গেম। এসব গেম একদিকে মজাদার ও উপভোগ্য, অপরদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট মনের মধ্যে জাগিয়ে তোলে দেশপ্রেম।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি খুবই জনপ্রিয় দু’টি গেমের নাম- ‘হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান’ এবং ‘দ্য গেরিলা ব্রাদারস’। দু’টিই অ্যান্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেমের গেম। চলো এবার গেম দু’টি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নিই।

হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান
এই গেমের প্রেক্ষাপট মধুমতী নদীর তীরে অবস্থিত শনির চরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা শামসু বাহিনীর লড়াই। শামসু বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকায় খেলতে হবে গেমারকে।  

এক রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শনির চরে অবস্থিত পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে শামসু বাহিনী। হামলায় দিশেহারা হয়ে পাকিস্তানি সেনারা ক্যাম্প ফেলে পালিয়ে যায়।  

কিন্তু একটু পর ওই ক্যাম্প আবারও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানি সেনারা আরও ভারী দল হয়ে ফিরে আসে। আর ক্যাম্প দখলে রাখতে পাঁচজন সদস্য নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে শামসু বাহিনী। ‘হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান’ গেমের শুরু এখান থেকেই।

এটি একটি ‘থার্ড পার্সন শুটিং গেম’। ফোনের টাচ প্যাডে আঙুল চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে চরিত্রকে। শত্রুর দিকে টার্গেট করে গুলি ছুড়তে হবে। কখনও কখনও শত্রুর দিকে ছুড়ে দিতে হবে গ্রেনেড। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে পজিশন নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শত্রুর গুলি এড়াতে কৌশল অবলম্বন করতে হবে গেমারকে।

গুগলের প্লে-স্টোর থেকে গেমটি এ পর্যন্ত ১০ লাখ বারেরও বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে।

গেরিলা ব্রাদার্সগেরিলা ব্রাদার্স
কামাল ও তমাল দুই ভাই।  বড় ভাই কামাল একজন সেনাসদস্য। ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের উপর আক্রমণ করলে কামাল কোনো রকমে নিজের প্রাণ নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। অস্থায়ী সরকার গঠনের পর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

বেশ কিছুদিন পর মুক্তি বাহিনীর ক্যাম্পে নিজের ভাই তমালকে আবিষ্কার করে কামাল। ছোট ভাই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে এসেছে জেনে তিনি গর্ববোধ করেন। এরপর তিনি তমালকে যুদ্ধের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেন। এখান থেকেই গেমের শুরু।

গেমারকে দুই ভাইকে নিয়ে হানাদার বাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে। গেমটি কো-অপারেটিভ মাল্টিপ্লেয়ার হিসেবে খেলা যায়। দু’জন গেমার দু’টি আলাদা অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের মাধ্যমে দুই ভাইয়ের চরিত্রে খেলতে পারবে। আর সিঙ্গেল প্লেয়ার খেলার সময় দুই ভাইয়ের যেকোনো একজনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, অন্য ভাইকে তখন নিয়ন্ত্রণ করবে কম্পিউটার।

গেমারকে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বালুর বস্তা, টিন ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে এগোতে হবে। শত্রুর গুলি এড়াতে এসবের পিছনে লুকনো যাবে। কামালের হাতে থাকবে সাব-মেশিনগান, তমালের হাতে থাকবে রাইফেল। দেশের শত্রু নির্মূল করতে তারা রওয়ানা হবে বিপদসংকুল অভিযানে।

গেমের গ্রাফিক্স, সাউন্ড ইফেক্ট এক কথায় চমৎকার। গুগল প্লে-স্টোরে গেমটির ডাউনলোড সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।