ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪৯)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪৯) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
নোরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে, আর জ্যাক ওকে ধাক্কা মারে। চুপ করো, সে বলে। সবকিছু যখন ঠিকঠাক হয়ে আসছে তখনই কি তুমি আমাদের ধরা পড়িয়ে দিতে চাইছ?

প্রমোদভ্রমণে আসা লোকেরা তাদের নৌকায় গিয়ে ওঠে। বাচ্চারা বৈঠার শব্দ শুনতে পেয়ে উঁকি মেরে দেখে।

দূর থেকে ওরা হ্রদের ওপর দিয়ে তাদের নৌকা করে চলে যাচ্ছে। প্রকাণ্ড বাতাসের ঝাঁপটা জলের ওপর ভীষণ আলোড়ন তোলে। নৌকাটা এদিক-সেদিক দুলতে শুরু করে।

তাড়াতাড়ি! নারীর চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়। আরে! আরে! আমরা তো দেখছি ঝড়ের কবলে পড়তে যাচ্ছি। ওখানটায় আবারও একটা কুৎসিত বাদুড় দেখতে পাচ্ছি! নোংরা এ দ্বীপে আমি আর কখনই আসছি না!

না আসলে আমি খুব খুশি হই! বিদায় জানাবার ভঙ্গিতে জ্যাক বলে। বাচ্চারা নৌকাটির চলে যাওয়া দেখে। বাতাসে তাদের গলার আওয়াজ ধীরে ধীরে মিইয়ে যায়। শেষবারের মতো আবারও গ্রামোফোন বাজার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তারপর ওদের আর কোথাও দেখা বা কথা শুনতে পাওয়া যায় না। আনন্দযাত্রীরা চলে গেছে।

চলে এসো, দাঁড়িয়ে হাত-পা টানটান করে, জ্যাক বলে। আরেকটু হলেই আমরা ধরা পড়ে যাচ্ছিলামÑ তবে কেউই আমাদের বা আমাদের জিনিসত্রের কোনোকিছুই দেখতে পায়নি।
কেবল একটা পায়ের ছাপ আর এক টুকরো রশি ছাড়া। মাইক বলে।

হুম, চিন্তুকের মতো, জ্যাক বলে। যে লোকটিকে এডি নামে ডাকা হচ্ছিল কোথাও সে চারটে শিশুর পালাবার চিহ্ন দেখতে পায়নি এবং সে যা দেখেছে বা শুনেছে তা থেকে চিন্তাও করেনি যে আমরা এখানে রয়েছি। এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন, তা তো তোমাদের জানাই আছে। আমাদের খোঁজে আবারও কেউ দ্বীপে এলে যাতে আমাদের খুঁজে না পায় সে জন্য আগে ভাগেই কিছু পরিকল্পনা তৈরি করে রাখা দরকার।

দূরে একটা বিদুৎ চমকাবার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। জ্যাক অন্যদের দিকে ঘুড়ে দাঁড়ায়। এবার কিন্তু ডেইজি হাম্বা ডাকছে না! সে দাঁত বের করে হাসে। এসো, এবার কিন্তু সত্যি সত্যি ঝড় আসছে। আমাদের অনেক কাজ সারতে হবে। আমি গিয়ে ডেইজিকে নিয়ে আসছি, দুধ দোয়াতে।

নোরা আর মাইক, তোমারা মুরগিগুলোকে ধরে আগের মতো উঠানে রেখে এসোÑ আর মাইক ভয় পেলে যাতে ওরা লুকাতে পারে সেজন্য গোটাকতক লাঠির ওপর ছালা বিছিয়ে ওদের জন্য একটা ছাউনি বানিয়ে দিও। পেগি, দেখো তো বৃষ্টি নামার আগেই আগুনটা ধরাতে পারো কিনা।

আই, আই, ক্যাপটেন! তাদের নিজেদের একটি দ্বীপ আছে, কথাটা আবারও মনে পড়ায় মনে মনে পুলক অনুভব করে, বাচ্চারা আনন্দে চিৎকার করে ওঠে!

চলবে....

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।