ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

এক ফালি চাঁদ

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১১
এক ফালি চাঁদ

তোমাদের কি প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভালো লাগে? মনে হয় না। এ জন্যই স্যারেরা তোমাদের প্রতি সপ্তাহে এক বা একাধিক দিন ছুটি দেন।

বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতেও তোমাদের ছুটি থাকে। কারণ ছুটির দিনটি তোমরা যাতে ইচ্ছেমতো কাটাতে পারো।

ছুটি পেলে তোমাদের কী মনে হয় জানি না, আমার কী মনে হয় জানো? আমার মনে হয় ‘আজ আমাদের ছুটি/মনের সুখে ধুলোয় পড়ে/খাবো লুটোপুটি/তারার দেশে যাব/হংস মিথুন হয়ে আমরা/মনের কথা কব/স্বপ্নের দেশে যাব চলে/ছুঁয়ে জাদুর কাঠি/সারাটা দিন খেলা/ভ্রমর হয়ে ফুলের সাথে/কাটিয়ে দেব বেলা। ’ শুধু ভ্রমর হয়ে বেলা কাটিয়ে দিলেই তো চলবে না। বন্ধু বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী, রাজা প্রজাদের খোঁজখবরও রাখতে হবে। তোমরা কি আমাদের পাশের রাজ্যের গোসাই ঘাটের রাজাকে চেনো? কিংবা জানো সে রাজার কাজ কারবারই বা কী? না জানলে কোনো ক্ষতি নেই। আমিই জানিয়ে দিচ্ছি। তবে ছড়ায় ছড়ায়। ‘গোসাই ঘাটের রাজা/শরীরটা বেশ তাজা/কুমড়ো দিয়ে ক্রিকেট খেলে/পাচ্ছেটা বেশ মজা/রান নিতে যে যাচ্ছে ভুলে/ক্যাচটা নিতে থাকছে ঝুলে/ব্যাটিংটা কী হবে এবার/করছে কপাল ঝাঁ ঝাঁ/স্টাম্পগুলো সব তাল নারিকেল/সুপারি গাছ হচ্ছে যে বেল/হাতির কানের গ্লাভস হাতে/কিপিং কোলা পাজা/গোসাই ঘাটের রাজা। ’

অদ্ভুত এই রাজার রাজ্য ছেড়ে তোমরা যদি ট্রেনে চেপে সিলেট থেকে ঢাকায় আসতে বলা হয় তাহলে কেমন হবে? খুব মজা হবে, তাই না বন্ধুরা। তখন তোমাদের কী মনে হবে জানে? মনে হবে Ñ ‘কু ঝিক ঝিক রেল চলেছে/সিলেট থেকে ঢাকা/মাঠ পেরিয়ে ঘাট পেরিয়ে/শুধুই চেয়ে থাকা/কমলালেবুর দেশটা ছেড়ে/ট্রেন চলছে ভোঁ/চায়ের বাগান দুলছে দুলুক/বাতাসে শোঁ শোঁ/...কোচটা ভরে যাচ্ছে রোজই/লক্ষ হাজার যাত্রী/সিলেট থেকে ঢাকায় তারা/ছুটছে দিবারাত্রি। ’

দিনে কিংবা রাতে তোমরা যেখানেই যাও না কেন শত্র“ মিত্র সবখানেই আছে। শত্র“ হলেই যে তাকে সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে এমন নয়। তাছাড়া আমরা শত্র“ মিত্র চিনতেও ভুল করি। শত্র“কে ভাবি বন্ধু। আর বন্ধুকে ভাবি শত্র“। এতে আমরা অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হই। এ বিষটি ছড়ায় ছড়ায় এভাবে বলা যায়। ‘শত্র“কে করো নিকট বন্ধু/বন্ধুকে করো পর/এমনি করেই কি ভুলের নেশায়/থাকবে জনম ভর/...কাটুক সন্ধ্যা কাটুক আঁধার/ভরুক আলোয় ঘর/বন্ধুকে তুমি বন্ধুই ভাবো/শত্র“কে করো পর/ঘরের এবং বাইরের যত/শত্র“ বিনাস হোক/শিশির ভোজানো আলোকে উজ্জ্বল/হোক না খোকার চোখ। ’

ইচ্ছেঘুড়ির বন্ধুরা, আমরা সবাই বিশ্বাস করি খোকার চোখ শিশির ভেজানো আলোকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এও বিশ্বাস করি তোমরা এতক্ষণ ছড়ার টুকরা টুকরা যে অংশগুলো পড়লে সে ছড়ার পুরাটাই পড়লে তোমাদের আরো ভালো লাগবে। এখন নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে এ ছড়গুলো কোন বইতে আছে। হ্যাঁ বন্ধুরা, সে বইটির নাম ‘এক ফালি চাঁদ’। তোমাদের জন্য এ বইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু কামরুল আমীন। লেখক মজার মজার ২৮টি ছড়া দিয়ে বইটি সাজিয়েছেন। বইটির ৪ রঙা প্রচ্ছদ এবং প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে মিলতাল করে ছবি এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু তারিক ফেরদৌস। ক্রাউন সাইজের ৩২ পৃষ্ঠার এ বইটি প্রাকাশ করেছে ঢাকার তোপখানা রোডের আদিগন্ত প্রকাশন। বইটির মূল্য ১০০ টাকা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।