ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

মেয়ের রাজকন্যা হওয়ার স্বপ্নপূরণে রাজ্য দাবি বাবার!

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪
মেয়ের রাজকন্যা হওয়ার স্বপ্নপূরণে রাজ্য দাবি বাবার!

শিশুরা কল্পনাবিলাসী। বিশেষত মেয়েশিশুরা নিজেদের রাজকন্যা ভাবতে ভালোবাসে।

সাত বছর বয়সী এমিলিও এর ব্যতিক্রম নয়। সেও স্বপ্ন দেখে একজন রাজকন্যা হয়ে ওঠার। একদিন বাবার সঙ্গে খেলতে খেলতে এমিলি বাবাকে জিজ্ঞেস করে সে কি সত্যিই কখনো রাজকন্যা হতে পারবে কীনা। বাবা বলেছিলেন, সে পারবে।

আর এমিলির বাবা জেরেমিয়াহ হিটন সত্যিই শুরু করেছেন এমিলিকে ‘প্রিন্সেস এমিলি’ করে তোলার মিশন। মিশর এবং সুদানের মাঝখানে কিছুটা মরুভূমির অংশ তিনি নিজের বলে দাবি করেছেন। ওই এলাকাটি মিশর বা সুদান- কোনো দেশের মধ্যেই পড়ে না। কোনো দেশ এই জায়গাটির মালিকানাও দাবি করে নি। জেরেমিয়াহ বির তাওইল নামে ওই জায়গাটি শুধু নিজের বলে দাবিই করেন নি, সেখানে নিজেদের নকশা করা পতাকাও পুতে দিয়ে এসেছেন। এই সবকিছুই তিনি করেছেন শুধু এমিলির রাজকন্যা হওয়ার স্বপ্ন সত্যি করতে।
prince_1
জেরেমিয়াহ হিটন বির তাওইল ‘রাজ্য’ নিজের করে নিতে ভার্জিনিয়া থেকে উড়ে গেছেন আফ্রিকায়। তিনি এমিলিকে করতে চান এই রাজ্যের রাজকন্যা। রাজকন্যা এমিলির রাজ্যটা অবশ্য একদম ছোট নয়। এর আয়তন ৮০০ বর্গমাইল।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে পৃথিবীর সর্বশেষ দাবিদারহীন এলাকাটি খুঁজে পান জেরেমিয়াহ। তারপর থেকেই তিনি এটির মালিকানা দাবি করছেন। এমিলিকে সত্যিকারের রাজকন্যা করে তোলার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন এই বাবা। তিনি এমিলিকে একটি মুকুট তৈরি করে দিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুসহ সবাইকে বলেছেন এমিলিকে ‘প্রিন্সেস এমিলি’ বলে ডাকতে। এমিলি এবং তার ভাইয়েরা মিলে নিজেদের রাজ্যের জন্য একটা পতাকা তৈরি করেছে। নতুন রাজ্যের নামটাও ভেবে রেখেছে তারা। ‘কিংডম অব নর্থ সুদান’ নামে এই রাজ্যটিকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছে তাদের।
prince_2
রাজকন্যা এমিলি তার রাজ্যের জন্য কী কী করবে তাও ঠিক করে ফেলেছে। একজন আদর্শ রাজকন্যা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিশীল এমিলি। সে জানিয়েছে সে তার রাজ্যের সকল শিশুর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নিশ্চিত করবে।  

‘কিংডম অব নর্থ সুদান’-এর জন্য জেরেমিয়াহ হিটনের এখন প্রয়োজন মিশর এবং সুদানের স্বীকৃতি। এ ব্যাপারে জেরেমিয়াহ বলেছেন, ‘আমি এ ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী’, ‘এই একই পদ্ধতি চলে আসছে হাজার বছর ধরে। শুধু বিশেষত্ব হলো, এই রাজ্যটি দাবি করা হয়েছে ভালোবাসার জন্য। ’
prince_3
ইউনিভার্সিটি অব রিচমন্ডের পলিটিক্যাল সাইন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শেলিয়া কারাপিকো জানান, এ এলাকার মালিকানা পেতে হলে পরিবারটিকে অন্য সব আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর স্বীকৃতি পেতে হবে।

এখনো অবশ্য জেরেমিয়াহ হিটন চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাজকন্যা এমিলিকে তার নিজের রাজ্য উপহার দেওয়ার। ‘পৃথিবীতে অনেক বেশি ভালোবাসা আছে, আমি চাই আমার সন্তানেরা জানুক যে আমি তাদের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। ’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।