![]() ইন্দোনেশিয়ায় অভিনব স্থাপত্যশৈলীর মসজিদ আল-ইরশাদ। ছবি: সংগৃহীত |
মসজিদ আল-ইরশাদ ইদানিং সংবাদমাধ্যমে বেশ আলোচিত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের বানদুং শহরে মসজিদটি অবস্থিত। এটি আদতে স্বাভাবিক ও সাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কোনো মসজিদ নয়। গম্বুজবিহীন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। এটি সাধারণ মিনার থেকে আলাদা রূপ-বৈশিষ্ট্যের মিনারবিশিষ্ট। মসজিদটির নকশা করেছেন ইন্দোনেশীয় স্থপতি রিদওয়ান কামিল।
বিচিত্র নকশায় নির্মিত এই মসজিদটি মুসল্লি, দর্শনার্থী ও অন্যান্যদের অভিভূত করেছে। জানা গেছে, কামিল বিশেষ ধারণার ওপর ভিত্তি করে এটি নির্মাণ করেছেন। প্রকৃতি অবলোকনের সুযোগ রাখার পাশাপাশি কেবলার দিক উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। আল্লাহর সৃষ্টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মানসে এমন অভিনব কর্ম-প্রয়াস পেয়েছেন তিনি।
আল্লাহর ৯৯ নামের প্রতীকী বাতি
মসজিদের অভ্যন্তরে ৯৯টি বাতি বসানো হয়েছে। আলাদা আলাদা বক্সে আল্লাহর ৯৯ নামের প্রতীকী বক্সের আকারে এগুলো স্থাপন করা হয়। যখন সন্ধ্যা নেমে আসে কিংবা রাতের আাঁধার ডেকে বসে— তখন মসজিদের চত্বর চিরাচরিত ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’র আলোক-প্রভায় দীপ্তি ছড়ায়। স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি ‘আরবি ক্যালিওগ্রাফি’ বিল্ডিং হিসেবে পরিচিত।
২০১০ সালে মসজিদটি পবিত্র কাবাঘরের অনুকরণে বর্গাকার এই মসজিদটি তৈরি করা হয়। মসজিদের চারপাশে গোলাকার চত্ত্বরটি কাবা শরিফের তাওয়াফ করার ধারণা থেকে তৈরিকৃত। রাজধানী জাকার্তার মসজিদ জামে দারুস সালামও বিশেষ ধারনার ভিত্তিতে তৈরি করেন রিদওয়ান কামিল। সেটিও বিস্ময়করভাবে গম্বুজ বিহীনভাবে নির্মিত।
কামিলের মসজিদের নকশায় গম্বুজের অনুপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, উষ্ণ আবহাওয়ায় গম্বুজ অনুপযুক্ত। আর মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের জন্য। এখানে বিল্ডিংয়ের গঠন সম্পূর্ণরূপে মানুষের হাতে। যেভাবে সুন্দর করে করা যায়।, সে চেষ্টা করা হয়। কোরআনে বিল্ডিংয়ের নকশা সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।’
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমএমইউ