ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা

ঢাকা: আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় আমরা এবার সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। সরকারিভাবে ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন এবার হজ করবেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য উপযুক্ত এজেন্সি ১ হাজার ১০টি। এরমধ্যে ২০১৯ সালে হজ কার্যক্রমে ৫৯৮টি এজেন্সি অংশগ্রহণ করবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনার আলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা হজ ব্যবস্থাপনা করে থাকি। এ বছরের শুরুতেই আমরা একটি হজ ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করেছি। সেই আলোকে আমরা আমাদের  করণীয় সমূহ পর্যায়ক্রমে সুন্দরভাবে সম্পাদন করছি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হজের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়া চলছে। ভিসার লজমেন্ট এর কাজ শুরু হবে। বিমান সিডিউলও চূড়ান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয় ও হজ্ব এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সহ আমরা সকলে মিলে হজ ব্যবস্থাপনার উন্নতির লক্ষ্যে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

হজের খরচ কমানোর বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। সে কারণে এ বছর হজযাত্রী প্রতি ১০ হাজার ৩২৪ টাকা বিমান ভাড়া বাবদ হজের খরচ কমেছে। যা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রীর জন্য ১৩১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯৪ টাকা ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে, যোগ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ বছরই প্রথম মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ এর অধীনে ডেডিকেটেড ফ্লাইটের হজযাত্রীদের সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন হবে, যা হজ ব্যবস্থাপনায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সৌদি আরবের বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অপেক্ষার সময় ও কষ্ট কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরই প্রথম ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের সার্ভারের সাথে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সার্ভারের ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে। এর ফলে রেজিস্ট্রেশন ও ভিসা লজমেন্ট প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫০ থেকে ১০০ তে কমিয়ে আনা হয়েছে। এতে করে এজেন্সি সমূহের কার্যক্রম সহজ হয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি বছর পবিত্র হজের দিনগুলোতে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য মক্কা, মিনা, আরাফা, মুযদালেফা তথা মাশায়েরে মোকাদ্দসায় যাতায়াতের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ও উন্নত বাস সেবা নিশ্চিত করা হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।