ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

সার্বজনীন উপকারের মাস রমজান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
সার্বজনীন উপকারের মাস রমজান রোজা আমার জন্য, স্বয়ং আমিই এর প্রতিদান দেব

রহমতের বার্তা নিয়ে শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান। রজমান মাস কেবল পরকালীন সওয়াব অর্জনের মাস নয়; সার্বজনীন উপকারের মাসও।

দিনভর উপোস থাকার কারণে সওয়াব অর্জনের পাশাপাশি শারীরিক অনেক উপকারও হয়ে থাকে। ফলে রমজানে কোনো অমুসলিমও যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভুক্ত থাকে- স্বাস্থ্যবিদদের মতে তার অনেক উপকার হয়।

 

অনেকের জেনে থাকার কথা, আমেরিকাসহ বেশকিছু আধুনিক দেশে শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য টু-ফাইভ (২/৫) ফর্মূলা চালু রয়েছে। অর্থাৎ তারা সপ্তাহে পাঁচ দিন খাবে, দুই দিন খাবে না। এতে করে তাদের শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে। এ থেকে বুঝা যায়, রমজানে অভুক্ত থাকার মধ্যে অনেক উপকার সর্বজন স্বীকৃত!

রমজানের পরকালীন সওয়াব সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘রোজা আমার জন্য, স্বয়ং আমিই এর প্রতিদান দেব। ’ 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বোখারি শরিফের ৩১০৩ নম্বর হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাস আসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। ’

বোখারির অপর হাদিসে এসেছে, জান্নাতের ১টি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাথী-সঙ্গীদের এ মর্মে সুসংবাদ শোনাতেন- ‘তোমাদের সমীপে রমজান মাস এসেছে। এটি এক মোবারক মাস। আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর এ মাসের সিয়াম সাধনা ফরজ করেছেন। এতে জান্নাতের দ্বার খোলা হয়। বন্ধ রাখা হয় জাহান্নামের দরজা। শয়তানকে বাঁধা হয় শেকলে। এ মাসে একটি রজনী রয়েছে যা সহস্র মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে যেন যাবতীয় কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। ’ –নাসাঈ

রমজানের প্রথম রাতের ফজিলত সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, রমজানের প্রথম রাত যখন আসে তখন আল্লাহ তার সৃষ্টিজীবের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান। আর এ রহমতের দৃষ্টি যে বান্দার প্রতি পড়ে ওই বান্দা কখনও আজাব ভোগ করবে না।

বোখারি ও মুসলিম শফিরে বর্ণিত হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.)-এর আরও একটি হাদিসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা রাখবে তার পেছনের সমস্ত গোনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে তারাবির নামাজ ও তাহাজ্জুদের নামাজ ঈমান ও সওয়াবের আশায় পড়বে আল্লাহ তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেবেন। যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান ও সওয়াবের আশায় রাত জেগে করবে আল্লাহ তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেবেন।

আল্লাহতায়ালা সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের পূর্ণ হক আদায় করে আমল করার তওফিক দান করুন।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।