ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখে করণীয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখে করণীয় পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখে করণীয়

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের চমৎকার সব পালনীয় ও বর্জনীয় বিধি-বিধান রয়েছে।

ইহ ও পারলৌকিক জীবনের মানবজাতির কল্যাণে যাবতীয় সব বিধান ইসলাম সার্বজনীনরূপে প্রণয়ন করেছে।  

ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত যত ধরনের কর্মে একজন মানুষ আত্মনিয়োগ করে এর প্রতিটিতেই রয়েছে ইসলামের সুবিন্যাস্ত দিক-নির্দেশেনা।

শনিবার সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হবে পবিত্র রমজানুল মোবারক। আজ সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে উদিত হওয়া বাঁকা চাঁদের ফালি জানান দেবে রমজানের আগমন বার্তা।

পবিত্র এই মাসকে স্বাগত জানানোর জন্য উৎসবমূখর হয়ে রয়েছে গোটা দেশসহ সমগ্র মসুলিম উম্মাহ। মনে মনে জপে চলছে ‘আহলান সাহলান মাহে রমজান’, ‘রামাদান কারিম’সহ আরও কত স্বাগত-বাক্য।  

এ সব বাক্য আদান-প্রদান হয় মানুষে মানুষে, ভাইয়ে ভাইয়ে। তাও আবার চাঁদ দেখার পর।

আজকের পশ্চিমাকাশে সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে আনন্দ ছেলে-বুড়ো সবাইকে ঘিরে ধরবে তাহলো- সবার আগে চাঁদ দেখার আনন্দ এবং অন্যকে আঙুলের মাথায় ভর করে দেখানোর বিজয়।  

‘আরে দেখতে পাসনি! ওই তো আমার আঙুলের মাথার দিকে তাকা’- জাতীয় মুনসিয়ানা বাক্যের খই ফুঁটবে আগে চাঁদ দেখা মানুষের হাসিমুখে।  

কিন্তু চাঁদটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে একটি সুন্নত আমল রয়েছে। আনন্দে আমরা ওই আমলটির কথা বেমালুম ভুলে যাই।  
 
নতুন চাঁদ উঠলে তা দেখার সঙ্গে সঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দোয়া পড়তেন- আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ, হিলালু রুশদিন ওয়া খাইরিন।  

অর্থ: হে আল্লাহ! চাঁদটি ঈমান ও নিরাপত্তা, শান্তি ও ইসলামসহ আমাদের জন্য উদিত করুন। হেদায়েত ও কল্যাণময় হে চাঁদ! আমার এবং তোমার প্রভু আল্লাহ।  

বর্ণিত দোয়ায় কল্যাণ কামনা করে মহান রবের কাছে শান্তি নিরাপত্তা ও ঈমান ইসলামের প্রার্থনা করা হয়েছে।

অপর দিকে এ ব্যাপারে চাঁদের কোনো ভূমিকা নেই এবং সেটিও আল্লাহতায়ালারই সৃষ্টি- এটাও বোঝানো হয়েছে দ্বিতীয় অংশে।

ইসলামি স্কলাররা রমজানকে স্বাগত জানানোর জন্য মসজিদে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে করে ফেরেশতাদের দায়িত্ব পরিবর্তনের সময় গমনকারীরা ওই বান্দাকে মসজিদে দেখতে পান আবার আগতরাও দেখতে পান।  

ফলে আল্লাহর কাছে রিপোর্ট করার সময় তারা ওই বান্দাদের মসজিদে পেয়েছেন বলে অবগত করাবেন। এতে করে আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই খুশি হবেন।  

লেখক: মুহাদ্দিস, ইমাম, প্রবন্ধকার।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।