ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

‘মসজিদে নেগারা’

মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালমপুরে অবস্থিত মসজিদে নেগারা সেদেশের জাতীয় মসজিদ। প্রায় ১৩ একর বাগানযুক্ত জায়গায় মসজিদটি অবস্থিত।

এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫,০০০ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারে।

মসজিদে নেগারায় প্রায় সোয়া দুইশ ফুট উঁচু একটি মিনার রয়েছে। কংক্রিট ঢালাই ব্যবহার করে ১৮ পয়েন্টের তারকাকৃতির ছাদ দিয়ে মিনারটি আবৃত। মালয়েশিয়ার সে সময়কার ১৩টি রাজ্য আর ইসলামের ৫টি স্তম্ভের যোগফল থেকে এসেছে এই ১৮ সংখ্যাটি৷ দূর থেকে দেখলে এটাকে একটি খোলা ছাতা বলে মনে হয়।

প্রথমে দিকে এই মসজিদের ছাদের রঙ ছিল গোলাপী। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটির সংস্কারের সময় ছাদে নীল টাইলস সংযুক্ত করা হয়। মসজিদটি নির্মাণে মালয়েশিয়ান ১ কোটি রিঙ্গিত খরচ হয়েছিল।

মসজিদটির এক প্রান্তে ৭ প্রান্ত বিশিষ্ট তারকাসদৃশ্য একট স্থাপত্য দেখা যায়। মূলত এটি মালয়েশিয়ার কিছু বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতার কবর।

এই মসজিদের নকশা করেছিল মালয়েশিয়ার পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগের তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল। তারা হলেন— মার্কিন  স্থপতি হোয়ার্ড আশলে, মালয়েশিয়ার স্থপতি হাসিম আলবক্রি ও স্থপতি বাহারুদ্দিন কাসিম।

১৯৫৭ খিস্টাব্দের ৩০ জুলাই ব্রটিশ শাসনাধীন মালয়েশিয়ার ফেডারেল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল একটি জাতীয় মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর এক মাস পরে অর্থাৎ ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ আগষ্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে মালয়েশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চের এক সভায় মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী টুঙ্কু আবদুর রহমানের নামানুসারে মসজিদটির নাম ‘মসজিদ টুঙ্কু আবদুর রহমান পুত্র আলহাজ’ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু টুঙ্কু আবদুর রহমান এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে জাতীয় মসজিদটির নাম ‘মসজিদে নেগারা’ করার প্রস্তাব দেন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। পরে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

মসজিদটি মালয়েশিয়ার একটি দর্শনীয় স্থান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘন্টা, জুন ১০, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।