ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

কক্সবাজারে ৩ দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা

ড্রিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৪
কক্সবাজারে ৩ দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার: বিশ্ব ইজতেমার আদলে কক্সবাজারে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার।

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে ছয়, সাত ও আট নভেম্বর পর্যন্ত এই ইজতেমা।

দল দলে মুসল্লিরা ইজতেমায় আসতে শুরু করেছেন। ইজতেমার মূল বয়ান শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার আসর নামাজের পর।
ijtema_1
কক্সবাজারে আয়োজিত ইজতেমা ময়দানের সমন্বয়ক হাফেজ আতাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, ২০০৪ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো কক্সবাজারে বড় পরিসরে ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। কক্সবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ijtema_2
তিনি জানান, সবচেয়ে বড় জামাত হবে শুক্রবার (৭ নভেম্বর)। ওই দিন লাখো মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে সমবেত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কক্সবাজার তাবলিগ জামাতের অধিনে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
ijtema_3
হাফেজ আবু বক্কর বাংলানিউজকে আরো জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের দু’টি জেলায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ছয় নভেম্বর নয় নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে ইজতেমা চলবে। ইজতেমায় আগতদের জন্য কক্সবাজারের আট উপজেলার তাবলীগ জামাতের লোকজন প্যান্ডেল, লাইট, পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা করেছেন। সপ্তাহ খানেক স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে ইজতেমা ময়দানের সমস্ত কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।
ijtema_4
কক্সবাজার তাবলীগ জামাতের সদস্য জাফর আহমদ জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য ৩৫০টি শৌচাগার, ৫০০ প্রসাবখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০টিরও বেশি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিশুদ্ধ খাবার পানি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে পৌর আওয়ামী লীগ।
ijtema_5
ইজতেমায় আসা মাওলানা সৈয়দ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তিনি এক সপ্তাহ আগে থেকে এসে ইজতেমা আয়োজনের নানা কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। তার মতো প্রায় হাজার খানেক মুসল্লি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন।

কক্সবাজার জেলা ইজতেমার জিম্মাদার মুফতি মুর্শেদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় দেশ-বিদেশের হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। এতে ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি ও আমিররা দ্বীনের মেহনত ও দাওয়াতের ওপর বয়ান করবেন।
ijtema_6
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমা উপলক্ষে কক্সবাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক আনসার ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যদের পাশাপাশি পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ইজতেমা মাঠসহ কক্সবাজার শহর জুড়ে।
ijtema_7
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ সার্বিক বিষয় মনিটর করতে জেলা প্রশাসকের একটি টিমও কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।