ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

বায়তুল মোকাররমের বরকতময় ইফতারে হাজারো মুসল্লি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
বায়তুল মোকাররমের বরকতময় ইফতারে হাজারো মুসল্লি

ঢাকা: পবিত্র মাহে রমজান এলে বদলে যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দৃশ্যপট। ভোর থেকে তারাবির নামাজ পর্যন্ত চলে ইবাদত-বন্দেগি।

এ মসজিদে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে দেখা যায় বরকতময় ইফতার আয়োজন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাসব্যাপী রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোজাদারের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির ব্যবস্থাপনায় আসরের নামাজের পর শুরু হয় প্রস্তুতি, শেষ হয় ইফতারের মাধ্যমে।

ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মুসল্লি এতে অংশ নেন। উদ্দেশ্য ইসলামের মর্মবাণী শোনা এবং হাজারো মানুষের সঙ্গে ইফতার করে পুণ্য অর্জন করা।

প্রতিদিন তিন হাজার মুসল্লির জন্য এখানে ইফতারের আয়োজন করে বসুন্ধরা গ্রুপ। এছাড়া পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল পরিবেশন করা হয়। হাদিস, কোরআন ও মাসয়ালা-মাসায়েল বিষয়ে রোজাদারদের উদ্দেশে নসিহত করেন ইসলামী চিন্তাবিদরাও।

রোববার (২৪ মার্চ) বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইফতারে অংশ নিয়ে দেখা যায়, ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ ইসলামী আলোচনা, হামদ-নাত পরিবেশনে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইফতারে ভিন্ন রকম আবহ তৈরি হয়েছে। ব্যবধান ভুলে ধনী-গরিব, ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী হাজারো রোজাদার মুসল্লি একত্রে বসে ইফতার করেন। প্রত্যেকের জন্য আলাদা ইফতার বক্সের ব্যবস্থা করা হলেও অনেকে আবার নিজেদের ভ্রাতৃত্ববোধে বড় পাত্রে একত্রে পাঁচ-সাতজন রোজাদার ইফতার করেন।

বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, খুব ব্যস্ততা না থাকলে এখানেই ইফতার করি। অনেক মানুষের সঙ্গে একত্রে ইফতারে সওয়াব বেশি। তাছাড়া এখানে খ্যাতিমান আলেমরা নানা ধরনের আলাপ-আলোচনা করেন।

হাবিব আহসান নামের অপর এক ব্যক্তি বলেন, পল্টনে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছি। বায়তুল মোকাররমের বরকতময় ইফতারের কথা অনেক শুনেছি। তাই এখানে আসা। এত মানুষের সঙ্গে ইফতারে শামিল হতে পারাটা একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

এ বিষয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন বায়তুল মোকাররমে ইফতার বিতরণ করা হয়।

তিনি বলেন, মুসল্লিদের ইফতারের এ আয়োজন সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনা করতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বায়তুল মোকাররমের বরকতময় ইফতারে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকেও মানুষ অংশ নেন। নিয়মিত ইফতারে এত মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কম জায়গাতেই রয়েছে। এ কারণে জাতীয় মসজিদের এই ইফতার অনুষ্ঠান রোজাদারদের বিশেষ আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।