ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

পদদলনের ঘটনায় দ. কোরিয়ার পুলিশের ভূমিকা ‘অপ্রতুল’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
পদদলনের ঘটনায় দ. কোরিয়ার পুলিশের ভূমিকা ‘অপ্রতুল’

রাজধানী সিউলের ইথেওন শহরে হ্যালোইন উৎসব পদদলনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ‘অপ্রতুল’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রধান ইউন হি-কেউন। গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ঘটনার পর এই প্রথম পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য এলো।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি। খবরে বলা হয়, হ্যালোইন উৎসবের রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জবাবদিহিতা চান নাগরিকরা। বিষয়টি নিয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলে দ. কোরিয় পুলিশ। ওই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি বলে স্বীকার করেছেন ইউন হি-কেউন।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রধানের ভাষ্য, দুর্ঘটনার আগে পুলিশ অনেক কল পেয়েছিল। পরিস্থিতির গুরুতরতা সম্পর্কে তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সদস্যদের প্রতিক্রিয়ার অভাব ছিল। এটি হতাশাজনক ছিল।

সেদিনকার ঘটনার জন্য ইউন হি-কেউন জননিরাপত্তা সম্পর্কে সীমাহীন দায়িত্ব অনুভব করেছেন বলেও জানান। ঘটনাটি পূর্ণ তদন্ত করা হবে বলেও তিনি অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কল পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা; কর্মকর্তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কিনা- সেগুলো পর্যালোচনা করতে আমরা দ্রুত ও নিবিড় তদন্ত পরিচালনা করব।

এদিকে, দ. কোরিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি সাং-মিনও ইথেওন শহরে হ্যালোইন উৎসব পদদলনের ঘটনায় নিহত ১৫৬ ও আহত ১৫২ জনের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বৈঠকে নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, একজন বাবা হিসেবে এটা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক। যার একটি ছেলে বা মেয়ে আছে, তার জন্য এ পরিস্থিতি কতটা অবাস্তব তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এ পরিস্থিতি মেনে নেওয়াও কঠিন। আমি হতাহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধান ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনতার চাওয়া জবাবদিহি করলেও অন্যান্য সরকারি সংস্থা এটিকে নিছক একটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখতে চায়। তাদের ভাষ্য, ওই ঘটনায় কাউকে সহজে দোষ দেওয়া যায় না।

শনিবার রাতের ওই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে জাতীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন দ. কোরিয়ার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এ সময় দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কূটনৈতিক অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ সময় জরুরি নয় এমন সব কর্মকাণ্ড দেশে স্থগিত থাকবে। বেসামরিক কর্মচারী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের শোকের সমবেদনা জানাতে বিশেষ ফিতা পরতে হবে।

স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পদদলনের ঘটনায় নিহত হন ১৯ বিদেশি। তারা ইরান, উজবেকিস্তান, চীন ও নরওয়ের নাগরিক ছিলেন।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।