ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

দাদি শাশুড়িকে স্মরণ করে কাঁদলেন মেগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
দাদি শাশুড়িকে স্মরণ করে কাঁদলেন মেগান

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকে পুরো বিশ্ব। যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা কাঁদছেন গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে।

শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানেও শত শত মানুষকে দেখা যায় চোখের জল ফেলতে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস এলবার্ট ডেভিডের (প্রিন্স হ্যারি) স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের অশ্রু।

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানির কফিন নিয়ে যাওয়ার সময় মেগানকে নিঃশব্দে কাঁদতে দেখা গেছে। এ সময় মেগানের পরনে ছিল কালো রঙের পোশাক। মাথা ছিল কালো রঙের চওড়া টুপি।

নিউইয়র্ক পোস্ট'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাদি শাশুড়িকে স্মরণ করে ডাচেস অব সাসেক্স মেগান অশ্রুরত অবস্থায় দেখা যায়। তিনি বেশ গম্ভীর ছিলেন।

কান্নারত মেগানের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটাগরিকরা বলছেন, দূরে গেলেও মেগানের অন্তরে রানির জন্য গভীর প্রেম ছিল, তার কান্না দেখেই বোঝা যায়।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শেষ হয় হার ম্যাজেস্টি কুইন এলিজাবেথ সেকেন্ড’র শেষকৃত্য। আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে প্রথম সারিতে দেখা যায় প্রিন্স উইলিয়াম, তার স্ত্রী এবং সন্তানদের। রাজা তৃতীয় চার্লস ও রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের পেছনে বসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেল।

বিভিন্ন গণমাধ্যম তাদের লাইভ সম্প্রচার করছিল। এ সময় প্রায় শত শত ক্যামেরায় ধরা পড়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাত বৌ মেগানের কান্না।

উইন্ডসরের সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলের কাছে স্বামী ডিউক অব এডিনবরার পাশে সমাহিত করা হয়েছে রানিকে। তার সমাধির ওপর মার্বেলের ফলকে খোদাই করে লেখা হয়েছে, ‘দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯২৬-২০২২’। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানরা। অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি অতিথি।

রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ জোহান সেবাস্তিয়ান বাখের কম্পোজিশন বাজান বাদকেরা। পরে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবুরি জাস্টিন ওয়েলবি রানির জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধানের আশীর্বাদ শেষ হওয়ার পর দেশটির জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এর আগে রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরই তার কফিন উইন্ডসর ক্যাসলের দিকে নেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের সময় রানির কফিনের উপর থেকে রাজমুকুট এবং রাজদণ্ড সরিয়ে নেওয়া হয়। রানির কফিন উইন্ডসরে নেওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

লন্ডনে দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নেন সশস্ত্র বাহিনীর তিন হাজার সদস্য। শোক মিছিলটি লন্ডনের অনেক বিখ্যাত স্থাপনার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। তার আগে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয়, যেখানে রানির বিয়ে এবং অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছিল।

দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটেন শাসনের পর ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস। তার আগে থেকে তিনি স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন। এটি তার নিজস্ব সম্পত্তি ছিল। ১৯৫২ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।