ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কাবুলে বড় সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুনজাদা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
কাবুলে বড় সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুনজাদা

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আলেম ও প্রবীণদের একটি বড় সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা।

শুক্রবার (১ জুলাই) দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানান।

তবে সমাবেশে গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ। খবর আলজাজিরার।  

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কাবুলের পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে শুরু হওয়া তিন দিনের ওই সমাবেশে ৩ হাজারেরও বেশি লোক উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সমাবেশ পুরো আফগানিস্তানে তালিবানের শাসনকে বৈধতা তথা রাবার-স্ট্যাম্প দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আখুনজাদা গত বছরের আগস্টে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে জনসমক্ষে আসেননি। এমনকি তাঁর নতুন কোনো ছবিও তোলা হয়নি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় রেডিওতে তাঁর কথা সম্প্রচার করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর কন্ঠে ‘আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত দীর্ঘজীবী হোক’ শ্লোগান বলতে শোনা গিয়েছিল।  

‘আফগান জিহাদের সাফল্য শুধুমাত্র আফগানদের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্যও গর্বের উৎস,’ আখুন্দজাদা একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, যা প্রচার হয়েছিল রাষ্ট্র-পরিচালিত বাখতার নিউজ এজেন্সিতে।  

কাবুলের সমাবেশকে সামনে রেখে আখুনজাদা গেল মাসের শক্তিশালী ভূমিকম্পের হতাহতদের জন্য দোয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। ভূমিকম্পে দেশটির পূর্বাঞ্চলে হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।  

এদিকে তালিবানের সর্বোচ্চ নেতার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানস্থলের কাছে দুই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তালিবান কর্মকর্তারা বলেছেন যে, দুজন ছাদ থেকে গুলি চালাতে শুরু করেছিল, কিন্তু মুজাহিদিনরা দ্রুত তাদের নির্মূল করেছে।  

সমাবেশটিতে নারীদের অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি, যদিও মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মেয়েদের স্কুল পুনরায় খোলার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফি বুধবার (২৯ জুন) রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আরটিএকে বলেছেন যে, পুরুষ প্রতিনিধিরা নারীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন।  

হাবিবা সারাবি, যিনি ২০০৫ সালে আফগান প্রদেশের প্রথম নারী গভর্নর হয়েছিলেন, তিনি আল জাজিরাকে বলেন, তালেবানদের মানসিকতা হলো- নারীদের ঘরে থাকা উচিত। তারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে না এবং সে কারণেই সমাবেশে কোনও নারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষক লুৎফুল্লাহ লুৎফ বলেছেন যে, সমাবেশটি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামত উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নারীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘তালেবানের আদর্শের পক্ষে কথা বলে। ’
তালেবানের দ্বিতীয় প্রধান এবং ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি শুক্রবার বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
এসএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।