ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইরাকে জেগে উঠলো ৩৪০০ বছরের প্রাচীন শহর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২২
ইরাকে জেগে উঠলো ৩৪০০ বছরের প্রাচীন শহর!

ইরাকের টাইগ্রিস নদীর পাশের একটি জলাধার শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে ভেসে উঠেছে ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরনো এক শহরের ধ্বংসাবশেষ।   

বলা হচ্ছে, দেশটির কুর্দিস্তানের কেমুন অঞ্চলে আবিষ্কৃত স্থানটি প্রাচীন জাখিকু শহর।

সম্প্রতি ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।  

বিগত কয়েক বছরের টানা খরায় ইরাকের সবচেয়ে বড় জলাধার মসুল ড্যাম জলাধারের পানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুকিয়ে গেছে। ফলে অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে এসেছে জলাধারের তলদেশ। আর এই উন্মুক্ত জলাধারের তলদেশেই দেখা পাওয়া গেছে এই প্রাচীন পুরনো ওই শহরের।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের জার্মান ও কুর্দি দল বলেছে, এই প্রাচীন শহরটি সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ সময়কার মিত্তানি সাম্রাজ্যের শাসনামলে মূল কেন্দ্র ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, বসতিটির এই ধ্বংসাবশেষ ব্রোঞ্জ যুগের। সেই সাম্রাজ্যের বহুতল প্রাসাদ, দুর্গের সুউচ্চ দেয়াল, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাসাদের ভেতর বহু মূল্যবান ও ঐতিহ্যের সাক্ষী এমন সব বস্তু পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেশ কয়েক দশক ধরেই খরায় ভুগছে ইরাক। বৃষ্টির দেখা নেই। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর জলও শুকিয়ে গিয়েছে বহু অংশেই। এর ফলে জীবনধারণের জন্য কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেখানকার মানুষদের। এই পরিস্থিতিতে শস্য যাতে শুকিয়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মসুল বাঁধের জলাধার খনন শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে এই খননকার্য শুরু হয়েছিল। আর তার ফলেই প্রাচীন এই শহরের হদিশ মিলল।

জার্মানির ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব দলের প্রতিনিধি ড. ইভানা পুলজিজ বিবৃতিতে বলেন, যেহেতু শহরটি সরাসরি টাইগ্রিস নদী অববাহিকায় ছিল, তাই ধারণা করা হচ্ছে এটি মিত্তানি সাম্রাজ্যের মূল অংশ বর্তমান উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সঙ্গে এর পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।