ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

চীনের নতুন অভ্যন্তরীণ অভিবাসন আইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৫, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

ঢাকা: অবশেষে অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নতুন আইন চালু করতে যাচ্ছে চীন সরকার। লাখ লাখ শ্রমিক যারা গ্রাম থেকে শহরে জীবিকার সন্ধানে এসে বসবাস করছে তাদের জন্য নতুন এই আইন করা হচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে।



নতুন এই আইনটি করা হয় মূলত ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়। কিন্তু এই তথ্য প্রকাশ করতে এক বছরের বেশি সময় লাগলো কেন তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চীনের মন্ত্রিপরিষদ থেকে সরকারি ওয়েবসাইটে অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। তবে এটি প্রকাশে বিলম্বের কোনো কারণ তুলে ধরা হয়নি।

গত বছর যে খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছিল তার সঙ্গে নতুন কিছু বিধি যুক্ত করে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আগের খসড়াতে আসলে কী ছিল তা জানা যায়নি।

চীনে প্রায় ২০ কোটি অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তরিত শ্রমিক গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারি হিসেবে নিবন্ধীত। ফলে স্থানীয়রা যে স্বাস্থ্য ও বাচ্চাদের শিক্ষার সুবিধা পেয়ে থাকে তা থেকে তারা বঞ্চিত।

নতুন এই নিয়মে স্টেট কাউন্সিল থেকে বলা হয়েছে, যারা শহরে বিভিন্ন ধরনের স্থায়ী কাজে নিয়োজিত তাদের সে শহরেই পরিবারসহ স্থায়ী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

অন্যদিকে যারা মাঝারি আকারের শহরে স্থায়ীভাবে বাস করে এবং অন্তত এক বছরের সামাজিক নিরাপত্তা কর দিয়েছে তারা তাদের পরিবারসহ শহরে অবস্থান করতে পারবে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, আদশুমারির উপাত্ত অনুযায়ী রাজধানী বেইজিংয়ের জনসংখ্যা ২০১০ সালেই এক কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এই শহরে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত জনসংখ্যা (এক কোটি ৮০ লাখ) বৃদ্ধির তুলনায় এটা অনেক বেশি।

পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেইজিংয়ে আসা মোট ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশই এসেছে কাজ অথবা ব্যবসার জন্য।

গত বছরের শেষ নাগাদ চীনের শহরগুলোতে জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো গ্রামীণ অঞ্চলকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে চীনের ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।