ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকত’ উপকূলে আঘাত হানবে মঙ্গলবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকত’ উপকূলে আঘাত হানবে মঙ্গলবার

আরব সাগরে সৃষ্ট মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‌‘তাওকতের’ অতি প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ে রূপ নিয়েছে, যা মঙ্গলবার ( ১৮ মে) নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে, এটি বাংলাদেশে নয়, আছড়ে পড়বে ভারতের গুজরাট উপকূলে।

ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘তাওকতের’ দিয়েছে মিয়ানমার। এটি একটি বার্মিজ শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে অতি উচ্চ শব্দসৃষ্টিকারী টিকটিকি।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর রোববার (১৬ মে) বিকেলে জানিয়েছে, ১৫ মে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়া ‘তাওকতের’ রোববার অতি প্রবল আকার ধারণ করেছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার, যা ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে।

বর্তমানে এটি পঞ্জিম-গোয়া উপকূল থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে, মুম্বাই থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, গুজরাট থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে এটি উত্তর দিকে ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে।  

‘তাওকত’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ গুরজরাট উপকূলে পৌঁছবে।  এরপর সেখানে থেকে তীব্র শক্তি নিয়ে ধীরে ধীরে গুজরাটের ভাবনগর জেলার পোরবন্দর এবং মহুবা এলাকার মধ্য ভাগ দিয়ে মঙ্গলবার সকালে উপকূল অতিক্রম করবে। এরপর ধীরে ধীরে শক্তি ক্ষয় করে মঙ্গলবারই গভীর নিম্নচাপ পরবর্তীতে বুধবার (১৯ মে) ‘‘তাওকত’ পরিণত হবে নিম্নচাপে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাট উপকূলে ২ থেকে ৩ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে আবর সাগরে সব ধরনের নৌযান বুধবার পর্যন্ত চালাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ভাবনগর ও আহমেদাবাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক খুঁটি, স্থাপনা, ঘরবাড়ি, গাছগাছালি ও উড়ন্ত পাখ-পাখালির ক্ষতি হতে পারে। রেল-সড়ক যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ফলে আবহাওয়া অধিদপ্তর, মানুষকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে।  

‘তাওকত’র প্রভাবে কেরালা, কর্নাটক, গোয়া, দক্ষিণ কঙ্কন, গুজরাট, রাজস্থানে রোববার মধ্যরাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। একইসঙ্গে বাতাসের গতিবেগ থাকবে স্থানভেদে ঘণ্টায় ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।  

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব যেন করোনায় চিকিৎসায় না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এজন্য তিনি বিদ্যুৎ সংযোগসহ সবপরিষেবা নিশ্চিতের কথা বলেছেন।

২০২০ সালেও ভারতের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সেই ঝড়েও কলকাতাসহ দক্ষিণ ভারত বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর আগের বছর ফণি দক্ষিণ ভারতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। তবে এ দু’টি ঝড়ে বেশ বাংলাদেশেও এসে পড়েছিল। সুন্দরবনে এসে এর শক্তি হারিয়ে যাওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad