ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বেয়াইসহ ২৯ ‘দাগী আসামি’কে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
বেয়াইসহ ২৯ ‘দাগী আসামি’কে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প শেষ সময়ে বেয়াইসহ ২৯ দাগী আসামিকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প (বাম থেকে রজার স্টোন, পল ম্যানাফোর্ট, চার্লস কুশনার) ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এর আগে ২৯ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প, যাদের প্রত্যেকেই দাগী আসামি।

অর্থাৎ তিনি আইনি প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দিলেন তাদের।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিবিসি জানায়, ওই তালিকায় রয়েছেন মেয়ের শ্বশুর চার্লস কুশনার (ট্রাম্পের বেয়াই), পল ম্যানাফোর্ট, ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের পরামর্শদাতা রজার স্টোনের মতো ঘনিষ্ঠরা।

এর মধ্যে ২৬ জন পূর্ণ ক্ষমা পাচ্ছেন। বাকি তিনজনের সাজার মেয়াদ কমবে। এ ধরনের ক্ষমা সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতায় থাকার শেষদিন করেন। ট্রাম্প আগেভাগেই ক্ষমা ঘোষণা করলেন।

শক্তি প্রয়োগ করে নিজের দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক সঙ্গী থেকে পরামর্শদাতাদের শাস্তির মুখ থেকে বাঁচালেন। রজার স্টোন ও ম্যানাফোর্ট দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের ছায়াসঙ্গী। রাজনীতিতে ট্রাম্পের উত্থান ও ভোটের প্রচারের অন্যতম পরিকল্পনায় ছিলেন দু’জন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচারের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ছিলেন স্টোন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ক্ষমা করার জন্য যে ক’টি আবেদন মঞ্জুর করেছেন, তার প্রত্যেকটির সঙ্গে হয় তার নিজস্ব যোগাযোগ রয়েছে, অথবা রাজনৈতিক কোনো যোগ রয়েছে। অভিযোগ, বিচারব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বেশিরভাগ সময়ই ট্রাম্প ক্ষমা করার আবেদন সরাসরি অভিযুক্ত বা রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেই ক্ষমা ঘোষণা করে দিচ্ছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) তিনি এমন ১৫ জনের ক্ষমা মঞ্জুর করেছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যসহ এমন কয়েকজন, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় সাধারণ ইরাকি নাগরিকদের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমা পাওয়া পল ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার কর ফাঁকি দেওয়া এবং প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি ব্যাংকের কাছে মিথ্যা বলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্তে ২০১৮ সালে অভিযুক্ত হন ম্যানাফোর্ট।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের বেয়াই ২০০৬ সালে দুই বছরের সাজা শেষ করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সামাজিক কাজে অবদান রাখছিলেন। কথিত রয়েছে, নিজের দুলাভাইকে ফাঁসাতে তিনি যৌনকর্মী ভাড়া করেন। তারপর ভুয়া রেকর্ড পাঠান বোনের কাছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই এ শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। এবার মেয়াদ শেষের মুহূর্তে আবার এ শক্তি প্রয়োগ করলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।