ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কোরান ইস্যু: বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়, আন্দোলন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০
কোরান ইস্যু: বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়, আন্দোলন

গেইনসভিলি ও মক্কা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক যাজকের পবিত্র কোরান শরীফ পোড়ানোর পরিকল্পনার প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্ব ফুসে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম ধর্মীয় নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধারগণ নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যহত রেখেছেন।



টেরি জোনস নামক এক যাজকের টুইন টাওয়ারে হামলার ৯ম বার্ষিকীতে আগামী শনিবার কয়েক শ’ কোরান পোড়ানোর ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠার পর জোনস তার পরিকল্পনা প্রত্যাখান করেন তবে পরবর্তীতে তা পূর্ণবিবেচনার ঘোষণায় মুসলিম বিশ্ব ফুসে ওঠে।

এরই মধ্যে এ পরিকল্পনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আফগানিস্তানের উত্তরের বাদাকাসান প্রদেশের রাজধানী ফয়জাবাদে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া পাকিস্তানে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পুড়িয়েছে।

শুক্রবার মক্কার ইমাম সালেহ বিন হুমাইদ এ ধরনের পরিকল্পনাকে সন্ত্রাসবাদ হিসাবে আখ্যা দিয়ে বলেন এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদকে আরো উষ্কে দেবে।

সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লাহ ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারারীর উপস্থিতিতে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ইমাম সালেহ বিন হুমাইদ বলেন কোরান পোড়ানোর এই ঘোষণা ইসলাম ও তার অনুসারীদের উপর আগ্রাসী মনোভাবের নামান্তর।

মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরণের কার্যকলাপ কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান তিনি।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজায়ি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া তার বক্তব্যে বলেছেন, জোনসের কোরান পোড়ানোর কথা চিন্তা করাও উচিৎ নয়।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ১৫০ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রয়েছে কোরান যা পোড়ানোর মাধ্যমে নষ্ট করা সম্ভব নয়। কিন্তু কোরানকে অবমাননা করা হলো জাতিকে অবমাননা করা।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়াধোইয়ানো পুনরায় জোনসকে  হুসিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন ‘এ ধরনের পরিকল্পনা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ ধরনের কাজ বিশ্বের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করবে। ’

অপর দিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহামেদিনেজাদ এ ধরণের পরিকল্পনাকে ‘ইহুদি ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এ ধরণের পরিকল্পনা ইসরাইলের ধংসকে ত্বরান্বিত করবে। ফিনিস্তানি ইসলামিক হামাস মুভমেন্টের অন্যতম নেতা ইসমাইল হানিয়া এ ধরনের পদক্ষেপকে আখ্যায়িত করেছেন ‘পাগলামী’ হিসেবে।

পুলিশদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারপোল তাদের পূর্বাভাসে এ ধরনের কাজের ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্খা প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।