ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইরাকের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৭২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
ইরাকের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৭২

ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে বেকারত্ব, দুর্নীতি, ঘুষ ও নিম্নমানের সরকারি সেবার বিরুদ্ধে বিগত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছে দেশটির সাধারণ মানুষ। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ’ মানুষ।

 

শনিবার (৫ অক্টোবর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিজেদের অধিকার আদায়ের আগ পর্যন্ত রাজপথেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত হাজারো মানুষ।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ইরাকের রাজধানী বাগদাদের প্রাণকেন্দ্র তাহরীর স্কয়ারে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যানুযায়ী, ওই সময় ঘটনাস্থলেই অন্তত ১০ জন নিহত হয়। এদিকে বাগদাদ পুলিশ বলছে, অজ্ঞাতনামা স্নাইপারের গুলিতে ২ পুলিশ সদস্যসহ ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।  

অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি মানতে শনিবার বাগদাদে জারি করা দিনব্যাপী কারফিউ তুলে নিয়েছে প্রশাসন। তবে বিক্ষোভকারীরা যেন সহজেই জড়ো হতে না পারে, এজন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটসেবা।

বহুদিন ধরে চলে আসা এসব সমস্যার সমাধান একদিনেই সম্ভব নয় জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি। শিগগিরই সাধারণ মানুষের দাবি পূরণ করার আশ্বাসও দেন তিনি।  

বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন দেশটির বয়োজ্যেষ্ঠ শিয়া যাজক আয়াতুল্লাহ আলি আল সিসতানি। অন্যদিকে সরকারের ব্যর্থতার দাবি তুলে পার্লামেন্ট ভেঙে আবারো নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদর।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদির সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানী বাগদাদে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে দেশটির সাধারণ মানুষ। ওইদিন তাদের বিক্ষোভে হামলা চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।  

পরবর্তীতে বুধবার (২ অক্টোবর) সেই বিক্ষোভ পুরো দেশে ছড়িয়ে যায়। যার জেরে রাজধানী বাগদাদসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এরপর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) কারফিউ তোয়াক্কা না করেই রাজপথে নামে হাজারো বিক্ষোভকারী। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। টানা কয়েকদিনের এসব ঘটনা মিলিয়েই প্রাণহানি বেড়ে ৭২-এ দাঁড়ালো।

ইরাকে চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইরাক সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।