ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

আমেরিকায় ৫ কন্টেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠালো ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
আমেরিকায় ৫ কন্টেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠালো ইন্দোনেশিয়া প্রতিবছর বিশ্বে ৩০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্জ্য ফেরত পাঠানো দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হলো ইন্দোনেশিয়ার নাম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা পাঁচ কন্টেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। পাশাপাশি, ইন্দোনেশিয়াকে ‘ময়লার ভাগাড়’ বানানোর সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। 

শনিবার (১৫ জুন) ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সায়্যিদ মুহাধার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই পাঁচ কন্টেইনারে শুধু কাগজজাতীয় আবর্জনা থাকার কথা ছিল। কিন্তু, এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বোতল, প্লাস্টিক, ডায়াপারজাতীয় আবর্জনা পাওয়া গেছে।

এটা ঠিক হয়নি। আমরা ময়লার ভাগাড় হতে চাই না।

একটি কানাডীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কন্টেইনারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়ায় পৌঁছায় গত মার্চ মাসে। এতে থাকা বর্জ্যগুলো কোথায় তৈরি হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ঘটনার পর জাকার্তা বন্দর ও সুমাত্রা দ্বীপের বাতাম শহরের অন্য সব কন্টেইনারও পরীক্ষা করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়া কিছুদিন আগে শত শত টন আমদানি করা বর্জ্য ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।

ফিলিপাইনও কানাডা থেকে আসা বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ফেরত পাঠিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশিরভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করতো চীন। তবে, সম্প্রতি পরিবেশ রক্ষার জন্য এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এরপর থেকেই এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে এসব বর্জ্য পাঠানো শুরু হয়।

ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) তথ্যমতে, প্রতিবছর সারাবিশ্বে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর বেশিরভাগেরই জায়গা হয় মাটির নিচে অথবা সাগরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।