ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাসাঞ্জের পাশে চাই, বাবা সিপটন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাসাঞ্জের পাশে চাই, বাবা সিপটন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তার বাবা জন সিপটন, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তার বাবা জন সিপটন।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ছেলে অ্যাসাঞ্জ লন্ডন পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রথমবারের মতো মিডিয়ার সামনে এসে অনুরোধ করলেন ৭৪ বছর সিপটন।

অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিপটন বলেছেন, আমার ছেলেকে অসুস্থ দেখাচ্ছে, সে আমার চেয়ে ‘দুর্বল’ গেছে।

তাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাহায্য প্রয়োজন।

যৌন নিপীড়নসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়ে ২০১২ সাল থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। প্রায় সাত বছর সেখানে থাকার পর ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল হয়ে গেলে গত ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দূতাবাসের ভেতর থেকেই গ্রেফতার হন তিনি।

এরপর ব্রিটিশ পুলিশের হেফাজতে আসলে দেখা যায় অ্যাসাঞ্জের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি। পরে গণমাধ্যমে প্রচার হয় অ্যাসাঞ্জের আগেকার এবং বর্তমান ছবির ‘পার্থক্য’। যা দেখেন তার বাবা সিপটনও।

এ নিয়ে তিনি বলেন, আমি অ্যাসাঞ্জকে দেখেছি। কী অবস্থা হয়েছে তার! সেসময় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। দেখলাম তাকে টেনে নিয়ে ভ্যানে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। তখন অ্যাসাঞ্জকে সুস্থ দেখাচ্ছিল না। আমি ৭৪ বছর বয়সী আর আমার ছেলের বয়স ৪৭, কিন্তু তার চেয়ে আমি অনেক ভালো আছি, সুস্থ আছি।

এটা খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে সিপটন বলেন, অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে প্রায় সাত বছর ‘বন্দি অবস্থায়’ ছিল। কিন্তু ১১ এপ্রিল ইকুয়েডর তার আশ্রয় বাতিল করে দেয়।

এদিকে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো বলেন, আমাদের দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় বাতিল করার সিদ্ধান্ত অন্য কোনো জাতির কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে করা হয়নি। আন্তর্জাতিক এবং দৈনন্দিন রীতিনীতি বারবার লঙ্ঘন করেছেন অ্যাসাঞ্জ। যে কারণে তার আশ্রয় স্থগিত করার মতো ভালো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অ্যাসাঞ্জের শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না এখানে।

এসময় অ্যাসাঞ্জ দূতাবাসে বসে বসে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন বলে অভিযোগ করেন প্রেসিডেন্ট মরেনো।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা মার্কিন দূতাবাসগুলোর গোপন তারবার্তা উইকিলিকসে প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে দেন অস্ট্রেলিয়ান এই নাগরিক। সেই বার্তায় মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তথ্যও ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার চেয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।

২০১২ সালে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। পরে সেখানে দূতাবাসের ভেতরেই থাকে কাটাতে হয় সাতটি বছর; বের হওয়ার কোনো উপায় ছিল না; গ্রেফতার হবেন বলে।

অপরদিকে, একইসময় সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপন করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল সেসময় থেকেই। এ নিয়ে কয়েক দেশের মধ্যে তুমুল বিতর্ক ছিল।

জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ একজন প্রোগ্রামার। যিনি ‘গোপন নথি ফাঁস’ করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।