ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যা ঘটেছিল ইথিওপিয়ান এয়ারের বিধ্বস্ত প্লেনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
যা ঘটেছিল ইথিওপিয়ান এয়ারের বিধ্বস্ত প্লেনে ইথিওপিয়ান এয়ারের বিধ্বস্ত প্লেনের ধ্বংসাবশেষ, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮’ যে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি আদ্দিস আবাবা থেকে উড্ডয়নের পর সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে অস্বাভাবিকভাবে দ্রুতগতিতে ওড়া শুরু করেছিল। পাইলট ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। পরে দ্রুত উপরের দিকে ওঠার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি, প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় ১৫৭ আরোহীর প্লেনটি।

সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রেকর্ডিং শোনার পর একটি সূত্র আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।

সূত্রটি জানিয়েছে, ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ এর ককপিটের ভয়েস রেকর্ডে শোনা গেছে, সমুদ্র লেভেল থেকে দ্রুত ১৪ হাজার ফুট উপরে ওঠার অনুমতি চাওয়া হচ্ছে, যখন প্লেনটি বিমানবন্দর থেকে ছয় হাজার ৪০০ ফুট উপরে ছিল।

প্লেনটি অস্বাভাবিক গতিতে চলা শুরু হলেই পাইলট এ অনুমতি চান। আর এ অনুমতি চাওয়া হয়েছিল জরুরিভাবে আবার বিমানবন্দরে ফিরে আসার কথা হওয়ার আগ মুহূর্তে। পরে ১০ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় প্লেনটি বিস্ফোরিত হয়ে বিলীন হয়ে যায়।

এদিকে, সূত্রটি নিজেকে গোপন রাখার কঠোর শর্তে এ তথ্য দিয়েছে। সূত্রটি বলছে, রেকর্ডিংটি প্লেন দুর্ঘটনার চলমান তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্লেনটি যখন দ্রুতগতিতে চলছিল, তখন পাইলট ককপিট থেকে বলছিলেন, ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ সমস্যায় পড়েছেন তিনি। আর এ কারণে দ্রুত ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে চান। সঠিক সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেনি সূত্র। তবে ভয়েসের শব্দের মধ্যে স্নায়বিক দুর্বলতা (নার্ভাস) ছিল বলে জানায়।

এর আগে রোববার (১০ মার্চ) সকালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ উড্ডয়ন করার ছয় মিনিটের মধ্যেই ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে বিধ্বস্ত হয়। এতে ফ্লাইটের ১৫৭ আরোহীর সবাই নিহত হন। এ ঘটনা নিয়ে চলছে তদন্ত।

আরও পড়ুন>> অবশেষে ট্রাম্প বললেন ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স’ গ্রাউন্ডেড হোক

এদিকে, কয়েকমাস আগে ইন্দোনেশিয়ায় লায়ন এয়ারের একই মডেল বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ আরোহীর সবাই মারা যান। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে একই মডেলের দু’টি প্লেনের বড় দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়। একইসঙ্গে নতুন প্লেন দু’টির দুর্ঘটনার মধ্যে বেশ মিলও ছিল। পরে শেষ পর্যন্ত একে একে বিশ্বজুড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮।

এছাড়া দুই ঘটনার কারণের মধ্যে যোগসাজশের তথ্য পাওয়া গেলে বিশ্ব বহরে থাকা এ মডেলের সব প্লেন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।