ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ফেরত আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো বিধ্বস্ত প্লেনের পাইলটকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
ফেরত আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো বিধ্বস্ত প্লেনের পাইলটকে বিধ্বস্ত প্লেনের ধ্বংসাবশেষ

১৫৭ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের পাইলটকে ফেরত আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সের সিইও। তবে ঠিক কি কারণে প্লেনটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট ব্যবধানেই বিধ্বস্ত হলো সে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।

রোববার (১০ মার্চ) সকালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমান বন্দর থেকে ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ উড়াল দেওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যেই ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে বিধ্বস্ত হয়। জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অবতরণের সম্ভাব্য সময় ছিলো।

দুর্ঘটনার পর এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের সিইও তৌলদে গ্যাব্রিমারিয়াম। তিনি জানান, প্লেনটিতে ৩০টির বেশি দেশের নাগরিক ছিলেন।  

মাত্র চার মাস আগে গত বছরের নভেম্বরে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয় বিধ্বস্ত হওয়া বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স৮ প্লেনটি। এর পাইলটও ছিলেন ব্যাপক অভিজ্ঞ। কারণ ২০১০ সাল থেকে তিনি এয়ারলাইন্সটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পাইলটের কথোপকথনের বরাতে সিইও তৌলদে গ্যাব্রিমারিয়াম বলেন, ‘জটিলতা’ অনুভব করায় এর পাইলট ফেরত আসার কথা বলেন। তাকে ফেরত আসার অনুমতিও দেওয়া হয়।

এদিকে কেনিয়ায় বিমান বন্দরে অপেক্ষায় থাকা অনেকেই জানেন না স্বজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে। কেউ কেউ সংবাদ কর্মীদের কাছ থেকে প্লেন বিধ্বস্তের খবর জেনেছেন। বিমান বন্দরে প্লেনের শিডিউলে ‘বিলম্ব’ লেখা ভাসলেও তার কারণ অনেকের কাছেই ‘স্বজনের’ মতো অজানা।

নতুন মডেলের বিধ্বস্ত এয়ারক্রাফটি মাত্র চার মাস আগে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়। ২০১০ সালে বৈরুত থেকে উড্ডয়নের পর ভূমধ্যসাগরে এয়ারলাইন্সটির একটি প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৯০ আরোহীর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।