ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

রাজনীতিতে ‘নাক গলাবে না’, পাকিস্তান আর্মিকে আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
রাজনীতিতে ‘নাক গলাবে না’, পাকিস্তান আর্মিকে আদালত

নিজেদের ‘সীমা না ছাড়াতে’ এবং ‘রাজনীতিতে নাক না গলাতে’ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছে সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট। 

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে দেশটি শাসন করা সশস্ত্র বাহিনীকে অনেকটা ‘শূলবিদ্ধ’ করে বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।  

২০০৮ সালে পারভেজ মোশাররফের বিদায়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে সামরিক শাসন ‘দৃশ্যমান’ না থাকলেও বিগত বছরগুলোতেও তারা ‘রাজনীতিতে নাক গলানো বন্ধ করেনি’ বলে মনে করে সুশীল সমাজ।

যদিও সামরিক বাহিনী বরাবরই কোনো ধরনের ‘হস্তক্ষেপের’ কথা অস্বীকার করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের গঠিত একটি দল পাকিস্তানের আলোচিত ‘ফায়জাবাদ বিক্ষোভ’র তদন্ত করছে। তদন্তে আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকার ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

রাজধানী ইসলামাবাদকে প্রায় অচল করে দেওয়ার ওই আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয় বেসামরিক প্রশাসন। তখন ৭ জন নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছিল।  

আন্দোলন ঠেকানো নিয়ে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর মতানৈক্য স্পষ্ট হয়ে পড়ে। এরপর সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলিতে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে সামরিক বাহিনী। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টিলিজেন্সের (আইএসআই) একজন কর্মকর্তা আন্দোলন থামাতে বিক্ষোভে নেতৃত্বদাতা একজনকে অর্থ দিচ্ছিলেন। বিষয়টিকে আগের পরিস্থিতি তৈরির জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মুশির আলম ও কাজী ফয়েজ ঈসা তাদের রায়ে বলেন, আইএসআই এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রাজনীতি, প্রচার মাধ্যম এবং অন্যান্য ‘বিধিবহির্ভূত কাজে’ অংশগ্রহণ বন্ধ করা উচিত ছিল। সামরিক বাহিনীর সদস্য কর্তৃক আন্দোলনকারীদের অর্থ প্রদানের ঘটনায়ই ওই বিক্ষোভে তাদের সংশ্লিষ্টতা ইঙ্গিত করে।  

আদালতের পক্ষ থেকে বিগত নির্বাচনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করায় সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) সমালোচনাও করা হয়।  

অভিযোগ রয়েছে, নওয়াজ শরিফকে বেকায়দায় ফেলে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর ক্ষেত্রে নির্বাচনে গড়াপেটা করেছে সামরিক বাহিনী।

তবে এসব ব্যাপারে সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এসএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।