ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে পৌঁছেছে আরও ১৭০০ অভিবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে পৌঁছেছে আরও ১৭০০ অভিবাসী

ঢাকা: মধ্য আমেরিকার অভিবাসী যাদের বেশিরভাগ হন্ডুরাসের, তারা টেক্সাসের ‘ইগল পাস’ সীমান্ত দিয়ে কোহুলিয়ার পেদ্রাস নিগ্রাস শহরে এসেছে।

মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কারাভ্যানে করে আরও প্রায় ১৭০০ অভিবাসী পেদ্রাস নিগ্রাস শহরে এসে পৌঁছায়।  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘ প্রত্যাশিত ‘সীমান্ত-দেয়াল’ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার প্রস্ততি চলাকালে তারা পৌঁছাল।

যদিও রাজ্যটিতে কোনো অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করা হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কোহুলিয়ার সরকার প্রধান মিগুয়েল এঞ্জেল রিকুয়েল্ম। তবে স্থানীয় মেয়র ক্লাউডিও ব্রেস গার্জা বলেন, যেসব অভিবাসীরা দেশটির নীতি মেনে চলবে তাদের স্বাগত জানাই।

সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে ‘সীমান্ত-দেয়াল’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প সরকার। এ ব্যাপারে ট্রাম্পের বক্তৃতা দেয়ার প্রস্ততিকালেই অভিবাসীরা এসে পৌঁছাল।  

মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, আমাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা থাকতে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ মানুষ অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। আমরা সেখানে অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছি। প্রয়োজন হলে আমরা সেখানে একটি মানব দেয়ালও তৈরি করব। যদি আমাদের কাছে সত্যিকারের দেয়াল থাকে, তবে এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা হবে।

পেদ্রাস নিগ্রাস কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের জন্য কয়েকটি পুরানো কারখানা ভবনে থাকার ব্যবস্থা করেছে। সেখানে নারী-শিশুরা পুরুষদের থেকে আলাদা ঘুমাবে বলে জানায় তারা।  

আগত এ অভিবাসীরা ১৫ জানুয়ারি হন্ডুরাস থেকে যাত্রা শুরু করা ২২০০ জনের দলেরই অংশ। অন্যদিকে, প্রায় ৫০০ অভিবাসী বসবাসের জন্যে মেক্সিকো সরকারের দেয়া মানবাধিকার ভিসা গ্রহণ করে সেখানে এক বছর কাজ করার জন্যে অনুমতি পেয়েছে।

দক্ষিণ মেক্সিকোর চিপাস রাজ্যে প্রায় ৩৮০০ জনের আরেকটি অভিবাসী দল রয়েছে। বুধবার তাদের পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে উত্তরের দিকে রওনা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল।

গত বছর থেকে দারিদ্রতা এবং সহিংসতার কারণে কয়েক হাজার মধ্য আমেরিকান কারাভ্যানে করে মেক্সিকান হয়ে দেশটি থেকে পালিয়েছে। অভিবাসীরা মেক্সিকান গ্যাংগুলি যারা অভিবাসীদের অপহরণ ও হত্যা করে, তাদের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপদ স্থানের খোঁজে দল বেধে ভ্রমণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসএ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।