ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

দণ্ডপ্রাপ্ত সেই রাম রহিমের জামিন, তবে..

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৮
দণ্ডপ্রাপ্ত সেই রাম রহিমের জামিন, তবে.. রাম রহিম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ধর্ষণের দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের হরিয়ানার স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম জামিন পেয়েছেন।

পুরুষ ভক্তদের নপুংসক করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দেশটির হরিয়ানার একটি আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২০১২ সালে রাম রহিমের এক ভক্ত তাকে নপুংসকের অভিযোগ করেন।

পরে ২০১৫ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের নির্দেশে রাম রহিমের বিরুদ্ধে এ মামলা করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত অধিদফতর (সিবিআই)। এরপর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিবিআই। অভিযোগপত্রে রাম রহিমের সঙ্গে পংকজ গর্গ ও এমপি সিং নামে তার দুই চিকিৎসককেও দোষী বলে উল্লেখ করা হয়। ওই মামলায় জামিন পেয়েছেন রাম রহিম।  

তবে মুক্তি পাচ্ছেন না এ ‘ধর্মগুরু’। দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন ৫০ বছর বয়সী রাম রহিম।

২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট (সোমবার) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিবিআই’র বিশেষ আদালত ধর্ষণের দায়ে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন। বিশেষ আদালতের বিচারক জগদীপ সিংহ এ সাজা ঘোষণা করেন। এরআগে গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন একই আদালত। তবে, সেদিন হরিয়ানার পঞ্চকুলায় স্থাপিত সিবিআই’র বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণা হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে রাজ্যের রোহটাক কারাগারের ভেতরে।

১৯৯৯ সালে ওই দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কাছে বেনামে যাওয়া চিঠিতে তোলা এ অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে ২০০২ সালে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এরপর সেই মামলার বিচার করতে হরিয়ানারই পঞ্চকুলায় বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে শুনানি শুরুর মাধ্যমে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার রায় ঘোষণা হয়। রায় ঘোষণার পর ভারতের সিরসা, পঞ্চকুলাসহ হরিয়ানাজুড়ে ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।