ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বৃহৎ অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
বৃহৎ অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটি! কম জনসংখ্যার এ দেশটিতে এখন আড়াই কোটি মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কম জনসংখ্যার এ দেশটি ক্রমে ক্রমে এখন পা দিলো আড়াই কোটি মানুষের ঘরে। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই সামান্য।

মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

দেশের সরকারি উপাত্ত অনুযায়ী, প্রায় এক যুগ ধরে প্রত্যেক বছর প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী অস্ট্রেলিয়া গমনের কারণে জনসংখ্যা বেড়ে আড়াই কোটিতে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া প্রত্যেক মিনিটে একজন মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান। যার ফলে বাড়ি, গাড়ি কিংবা স্কুল, হাসপাতাল সবকিছুর চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে দেশটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও জোরদার হচ্ছে দিন দিন।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস বলছে, এভাবে জনসংখ্যা বাড়লে আগামী তিন বছরে দেশটির জনসংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখে পৌঁছাবে।

তবে দেশটিতে অভিবাসীদের প্রবেশ নিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা ইস্যুতে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছে, অভিবাসীদের জন্য অপর্যাপ্ত অবকাঠামো শহরগুলোর গতিরোধ হয়ে গেছে। আবার অনেকের মতে, মজুরি বৃদ্ধির কারণে শ্রমবাজারা বাড়ছে।

দেশটির ট্রেজারার স্কট মরিসন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে আড়াই কোটি জনসংখ্যা সামলানোর ব্যাপারে বলেন, এর জন্য অবকাঠামো খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। যার জন্য এ খাতে সাত হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে সহযোগীতা থাকতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অভিবাসীর কারণে অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিকভাবে সফলও হয়েছে। দেশটিতে সব থেকে বেশি অভিবাসী যায় ইংল্যান্ড, চীন, নিউজিল্যান্ড ও ভারত থেকে।

চলতি বছরের জুনে এবিসির উপাত্তে দেখা যায়, দেশটির মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৬২ শতাংশ হয় অভিবাসীদের মাধ্যমে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয় ৩৮ শতাংশ।

দেশটির সিনেটর ডিন স্মিথ বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে অবকাঠামো বাড়বে। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন যাওয়ার অধিকাংশরাই সিডনি ও মেলবোর্নে বাস করেন।

তিনি আরও বলেন, আড়াই কোটি জনসংখ্যায় পৌঁছার মাধ্যমে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে, আমরা পরবর্তীতে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত রেখে এটার ভারসাম্য রাখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।