ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে ‘পরাশক্তি’ হতে চায় চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে ‘পরাশক্তি’ হতে চায় চীন যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, চীন স্নায়ুযুদ্ধ বাঁধাতে চাইছে

চীনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ শুরু করলেও মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল কলিন্সের দাবি, চীনই একটি ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ বাঁধাতে চাইছে। তার আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে ‘সুপার পাওয়ার’ (পরাশক্তি) হওয়ার জন্যই চীন এই স্নায়ুযুদ্ধে জড়াতে চাইছে।

কলোরাডোতে আয়োজিত জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সম্মেলন ‘আসপেন সিকিউরিটি ফোরামে’ বক্তৃতা করছিলেন সিআইএ’র পূর্ব এশিয়া মিশনের উপ-সহকারী পরিচালক কলিন্স। অনুষ্ঠানে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, কাউন্সটার টেরোরিজম, ইন্টিলিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন দফতর ও বিভাগের কর্মকর্তারা।

কলিন্স বলেন, ‘শি (জিনপিং) এবং তার দেশ আমাদের বিরুদ্ধে যা করছেন, আমি অবশ্যই বলবো এটা বাস্তবিক অর্থেই স্নায়ুযুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা। যে স্নায়ুযুদ্ধ আমরা দেখেছি (১৯৪৭-১৯৯১ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে প্রাচ্য শক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্য শক্তির মধ্যে) তার মতো নয়, এটা একেবারে প্রকৃত অর্থে স্নায়ুযুদ্ধ। ’

চীনারা সংঘাত না চাইলেও রাষ্ট্রের কর্তারা সেটাই চাইছেন উল্লেখ করে সিআইএ’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘...একটি দেশ বৈধ ও অবৈধ, সরকারি ও বেসরকারি, অর্থনৈতিক ও সামরিক সবক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। অথচ চীনারা সংঘাত চায় না। ’

‘স্বার্থের প্রশ্নে তারা চায় বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে চীনের পাশে থাকুক। কারণ চীনারা ক্রমাগত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত বাধাতে চাইছে এবং আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) এটাকে পদ্ধতিগত সংঘাত বলে চুপ করে আছি। ’ বলেন কলিন্স।

‘বিশ্বমঞ্চে চীনকে কেন্দ্রীয় আসনে নেওয়ার জন্য’ দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে কলিন্স বলেন, ‘তার এই চিন্তাভাবনা চীনের সংবিধানেও অন্তুর্ভুক্ত হয়েছে। চীনের তৈরি করা হুমকিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। ’

চীন একটা প্রতিযোগিতা শুরু করেছে এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে পড়েছে জানিয়ে সিআইএ’র এই শীর্ষ কর্মকর্তা হুঁশিয়ার করেন, রাশিয়া যা  করতে পারতো তার চেয়ে অনেক বেশি করতে পারে এরা (চীন)।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে ওয়াশিংটন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবলেও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংকটে দেশটিরই শরণাপন্ন হয়েছে তারা। এমনকি পরমাণু কর্মসূচি থেকে উত্তর কোরিয়াকে নিবৃত্ত করতে চীনকে হস্তক্ষেপ করতেও আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ফল হিসেবে ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বৈঠকও দেখেছে বিশ্ব।

কিন্তু এই ‘বোঝাপড়া’র মধ্যে সম্প্রতি ‘টানাপোড়েন’ স্পষ্ট হয় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করলে। চীনও পাল্টা শুল্কারোপ করে, তাতে কার্যত দু’পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad