ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

আরবদের ‘প্রাধান্য বিস্তার মানবে না’ কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
আরবদের ‘প্রাধান্য বিস্তার মানবে না’ কাতার কাতার সরকারের প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি

ক্রমেই গভীর হচ্ছে কাতার সংকট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও কুয়েত আমিরের মধ্যস্থতা চেষ্টায় কোনো আশা দৃশ্যমান হচ্ছে না। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছে। কাতারও অটল অবস্থান থেকে পিছপা হতে রাজি নয়।

দোহার বিরুদ্ধে কট্টরপন্থিদের সহায়তার অভিযোগ তুলে সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো চলেছে, অবরোধ প্রত্যাহারসহ সম্পর্ক পুনর্স্থাপন করতে গেলে কাতারকে অবশ্যই উগ্রপন্থি সংগঠনগুলোকে সমর্থনের নীতি থেকে সরে আসতে হবে। নিশ্চয়তা দিতে হবে মিডিয়া ব্যবহার করে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর।

কিন্তু অবরোধের ফলে খাদ্য সংকটে পড়ে যাওয়া কাতারে ‍সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি থেকে কখনোই সরবে না। বরং এ ধরনের অবরোধ আরোপ করে অন্য দেশের ওপর ‘প্রাধান্য বিস্তার নীতি’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তারা।

রোববার (১১ জুন) একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কাতারের দৃঢ় অবস্থানের কথা বলছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মুতলাক আল কাতানি।

উপসাগরীয় ক’টি দেশের অবরোধ আরোপের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কাতানি বলেন, এটা প্রাধান্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ করার নীতি। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশরের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তটি সফলতার মুখ দেখবে না।  

কাতানি বলেন, আমি মনে করি এ অবরোধ সন্ত্রাসবাদ দমন কিংবা সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের অভিযোগে দেওয়া হয়নি। আমার দেশকে কার্যকর ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বদলানোর চাপ দিতেই এ অব্যাহত প্রচারণা। প্রাধান্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণের এ নীতি কাজে আসবে না।

কাতারের এ মন্ত্রী বলেন, যদি প্রসঙ্গটা সন্ত্রাসবাদ হয় তাহলে বলবো কাতার কখনোই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেনি, কাতার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না এবং কাতার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করবে ন‍া।  

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে উপসাগরীয় দেশগুলোর ওই অবরোধ আরোপের পর প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ কাতার বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়েছে। সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা এবং সৌদি আরবের আঞ্চলিক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অথনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রেখেছে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন আটটি দেশের জোট।  

আর এ একঘরে করার কারণে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের একমাত্র স্থলসীমান্তটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পড়শী দেশগুলোর আকাশসীমা ব্যবহারে। ফলে সেখানে পারস্য উপসাগর উপকূল ছাড়া কোনো দিক দিয়ে খাবার বা পণ্য কিছু ঢুকতে পারছে না।

এরপরও কাতারের এই কড়া অবস্থানে বদ্ধপরিকর কাতানিসহ দোহার কর্তারা। কাতার সরকারের প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি বলেন, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না দোহা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
জিইউ/ এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।