ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

চিলিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১
চিলিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ

সান্তিয়াগো: চিলিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে বুধবার দাঙ্গা পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে ।

এদিন রাজধানীতে সহিংস বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

তবে ছাত্রদের এই বিক্ষোভ অনেক স্থানে শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শুভাকাক্সক্ষী শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা মিলে ১০ হাজারেরও বেশি লোক সান্তিয়াগো শহরতলির রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকারের প্রস্তাবিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়ে গত দুই মাসের মধ্যে এটি পঞ্চম বিক্ষোভ।

শান্তিপূর্ণ মিছিলটি বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে যখন একদল তরুণ লা মোনেদায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটে লাঠিসোটা ও পাথর নিয়ে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় তারা রাস্তার ল্যাম্প ও আশাপাশের বিল্ডিংয়ের জানালার কাচ ভেঙে ফেলে ও একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ মিছিলে ৭০ হাজার লোক অংশ নেয়। অবশ্য সংগঠকদের দাবি, মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি।

১৯৭০ সালে চিলিতে দীর্ঘ ১৭ বছরের সামরিক শাসনের অবসানের পর গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা লাভের পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

সান্তিয়াগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানুয়েল সোতো বলেন, ‘সরকার আমাদের কথা শুনছেই না। আমরা চিলিতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই কিন্তু সরকারের প্রস্তাবনায় আমাদের দাবির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ’

তিনি বলেন, ‘সরকার ভাল শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। ’

রাজধানী ছাড়াও এদিন চিলির প্রধান শহর আরিকা, ভালপারাসিও ও কনসেপসিওনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ছাত্র-শিক্ষকরা। আর্জেন্টিনায় অধ্যায়নরত চিলির শিক্ষার্থীরাও দেশের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সে দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

চিলির স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী রদরিগো উবিলা জানিয়েছেন, সান্তিয়াগোতে ৭২ জনসহ সারা দেশ থেকে ২৭৩ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৩ পুলিশ আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবি গণশিক্ষা ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। দেশটিতে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালে সামরিক সরকারের সময় শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ে। এসময় সরকারি বিদ্যালয়গুলো স্থানীয় প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে বৈষম্য খুবই গভীর এবং অনুদান একেবারেই অপ্রতুল।

শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, উচ্চ শিক্ষার ব্যয় জনগণের সামর্থের মধ্যে রাখা।

চিলিতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট ও অপ্রতুল অনুদানের কারণে ঋণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।