ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে ৮ বিদেশি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার দায় স্বীকার করলো তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১০
আফগানিস্তানে ৮ বিদেশি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার দায় স্বীকার করলো তালেবান

কাবুল: উত্তর আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত খিস্টান মিশনারি চিকিৎসাকর্মীদেরকে শুক্রবার হত্যা করেছে তালেবান জঙ্গিরা। অঞ্চলটি থেকে ছয় মার্কিন, এক জার্মান এবং এক ব্রিটিশ নাগরিকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

খবর এএফপি’র।

নিহত ব্যক্তিরা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন (আইএএম) নামের একটি দাতা সংস্থায় চু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও আছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডির্ক ফ্রান্স।

এএফপিকে ফ্রান্স বলেন, “নিহত পাঁচজন পুরুষের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং তিনজন নারীর মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র, একজন জার্মানি ও একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ”

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও বেঁচে যাওয়ার দাবি করেছেন সাইফুল্লাহ নামের এক আফগান নাগরিক। তাঁর বরাত দিয়ে প্রদেশটির পুলিশ প্রধান অ্যাকা নূর কিনতোজ বলেন, গতকাল বাদাখশান প্রদেশের গভীর জঙ্গলে নিহতদের দলটিকে সারিবদ্ধভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

শনিবার তালেবান জঙ্গিরা এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “গতকাল সকাল প্রায় আটটায় আমাদের একটি দল বিদেশীদের মুখোমুখি হয়। তাঁরা ছিলো খ্রিস্টান মিশনারি এবং আমরা তাদের সবাইকে হত্যা করেছি। ” দলটি জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেছিলো এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাঁদেরকে হত্যা করা হয় বলেও ওই মুখপাত্র জানান।

এদিকে প্রথমে বাদাখশান প্রদেশের পুলিশের প্রধান অ্যাকা নূর কিনতোজ ছয় জার্মান, দুই মার্কিন নাগরিকের নিহত হবার কথা জানালেও আইএএম এর ডির্ক ফ্রান্স পরবর্তীতে তা সংশোধন করেন।

এছাড়া শুক্রবার মার্কিন দূতাবাস বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র কেইটলিন হাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, “নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিকও আছেন বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে ....এসব ব্যক্তিদের পরিচয় এবং জাতীয়তা জানতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্যদের সঙ্গে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ”

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র কার্যালয় জানায় এটি একটি “গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং আমরা জরুরি ভিত্তিতে এ নিয়ে কাজ করছি। ”

তবে জার্মান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আটজনের ওই চু বিশেষজ্ঞ দলটি তিনজন আফগান নাগরিককে নিয়ে বাদাখশান ও নুরিস্তান প্রদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রবেশ করছিলেন এবং জঙ্গলে কয়েক রাত কাটিয়েছেন বলে সাইফুল্লাহর বরাত দিয়ে প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান কিনতোজ জানান।

এছাড়া স্থানীয় গ্রামবাসী তাঁদেরকে বিপজ্জনক এ জঙ্গলে প্রবেশ করতে নিষেধ করলেও চিকিৎসক বলে তাঁরা নিরাপদ, এ যুক্তির কথা বলে তাঁরা সেখানে তারা প্রবেশ করেন বলে সাইফুল্লাহর বিবৃতি থেকে জানা যায়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।